সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েও তা পরিশোধ না করেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন নীরব মোদি (Nirav Modi), মেহুল চোকসি, বিজয় মালিয়ারা । বিজয় মালিয়ার যেখানে ঋণখেলাপের পরিমাণ ৯ হাজার কোটি টাকারও বেশি, সেখানে নীরব মোদির ঋণখেলাপের পরিমাণ ৭,৭০০ কোটি টাকা। এই পরিস্থিতিতে এবার হায়দরাবাদের (Hyderabad) একটি সংস্থা এবং সেটির শীর্ষ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে উঠল আর্থিক তছরূপের অভিযোগ। সংস্থাটির কারসাজিতে কানাড়া ব্যাংকের ক্ষতির পরিমাণ ৭,৯২৬ কোটি টাকা। যা কিনা নীরব মোদির তুলনাতেও বেশি। ইতিমধ্যে ট্রানসস্ট্রয় (Transstroy) নামে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে CBI।
জানা গিয়েছে, হায়দরাবাদের ট্রানসস্ট্রয় সংস্থাটি হাইওয়ে, ব্রিজ, সেচ প্রকল্প, মেট্রো রেল প্রকল্প, গ্যাস এবং তেলের ব্যবসার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই যুক্ত ছিল। তবে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে National Company Law Tribunal বা এনসিএলটি’র (NCLT) নির্দেশ অনুযায়ী ইতিমধ্যেই বন্ধ হওয়ার পথে। কিন্তু তার মধ্যেই সংস্থা এবং কয়েকজন শীর্ষ আধিকারিকের বিরুদ্ধে সামনে এল ৭,৯২৬ কোটি টাকা ঋণখেলাপের অভিযোগ।
সিবিআই সূত্রে খবর, সংস্থাটি বেশ কিছু ভুয়ো অ্যাকাউন্ট, শেয়ার মার্কেটের নকল কাগজপত্র, ভুয়ো ব্যালেন্স সিট, ভুয়ো ফাণ্ড দেখিয়ে কানাড়া ব্যাংকের (Canara Bank) নেতৃত্বে ব্যাংক কনসর্টিয়াম থেকে মোট ৭,৯২৬ কোটি টাকা ঋণ নেয়। তারপরই সেই টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে দেয়। ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হয় কানাড়া ব্যাংক–সহ অন্যান্য ব্যাংকগুলোও। পরবর্তী ওই সংস্থার সম্পত্তি এনপিএ বা নন–পারফর্মিং অ্যাসেটে পরিণত হয়। এরপরই নড়েচড়ে বসে সিবিআই। তদন্তে নেমে পুরো জালিয়াতি সামনে আসে।
জানা গিয়েছে, ট্রানসস্ট্রয় সংস্থাটি ছাড়াও CMD চেরুকুরি শ্রীধর, বেঙ্গালুরু ইউনিটের দুই অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর রায়াপতি সম্ভাশিবা রাও এবং আক্কিনেনি শতীশের নামে মামলা রুজু করেছে। সম্প্রতি প্রত্যেকের হায়দরাবাদ এবং গুনটুরের বাড়িতে তল্লাশিও চালিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.