ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (COVID-19) রিপোর্ট নেগেটিভ। শরীরে রোগের কোনও উপসর্গও নেই। তা সত্ত্বেও এক ব্যক্তিকে কোভিড ওয়ার্ডে রেখে ভুয়ো চিকিৎসা করার অভিযোগ উঠল হায়দরাবাদের (Hyderabad) একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে ৫৫ বছর বয়সি ওই ব্যক্তি পুঞ্জাগুট্টা (Punjagutta) পুলিশ স্টেশনে ওই বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেখানে তিনি আরও জানিয়েছেন, শুধু ভুয়ো চিকিৎসা নয়, চিকিৎসার খরচ হিসেবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি টাকা নিয়েছে।
জানা গিয়েছে, পেশায় আইনজীবী ওই ব্যক্তির নাম শ্রীধর সিং। হায়দরাবাদের বিজয় নগর কলোনির বাসিন্দা। গত ২৮ জুলাই সামান্য জ্বর এবং দুর্বলতা অনুভব করায় সমাজিগুডার ডেকান হাসপাতালে ভরতি হন তিনি। পরদিন তাঁর সোয়াব টেস্ট করা হয়। এরপরই হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তিনি কোভিড পজিটিভ। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কোভিড রোগীদের জন্য নির্ধারিত ওয়ার্ডে। কিন্তু রবিবার ওই ব্যক্তি লক্ষ্য করেন, তাঁর জ্বর নেই। এমনকী করোনার কোনও উপসর্গই নেই। এরপরই নিজের রিপোর্টটি দেখতে চান। আর তা দেখেই চক্ষু চড়কগাছ! কারণ রিপোর্টে লেখা ছিল, তিনি করোনা পজিটিভ নন। অর্থাৎ বিনা কারণেই তাঁকে কোভিড ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা করছিল ওই হাসপাতাল। এদিকে, ততক্ষণে তাঁকে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার বিল ধরানো হয় হাসপাতালের পক্ষ থেকে। এরপর গোটা বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করলেও কোনও সদুত্তর পাননি তিনি। শেষপর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হলেন।
এই প্রসঙ্গে শ্রীধর সিংয়ের বক্তব্য, ‘‘আমার টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। তা সত্ত্বেও আমাকে জোর করে কোভিড ওয়ার্ডে রেখেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রিপোর্টটাও আমাকে দেখায়নি। আমাকে পরে এই ভুয়ো চিকিৎসার জন্য ৩ থেকে ৬ লক্ষ টাকার বিলের কথা জানানো হয়।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.