সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়িতে শারীরিক অত্যাচারের শিকার তিনি। তাই হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন কিছু টেস্ট করাতে। কিন্তু সেখানে যে আরও বড় বিপদ অপেক্ষা করেছিল, তা ভাবতেও পারেননি ৩৫ বছরের গৃহবধূ। হাসপাতালের মধ্যে কর্মীর হাতেই ধর্ষিতা হলেন তিনি।
কাঠুয়া, উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডের পরও টনক নড়েনি সমাজের কিছু যৌনপিপাসুর। নিত্যদিনই তাই ধর্ষণের ঘটনা উঠে আসছে শিরোনামে। এবারের ঘটনাস্থল হায়রাবাদের ওসমানিয়া জেনারেল হাসপাতাল। নিজামের শহরের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল হিসেবে পরিচিতি রয়েছে এর। আর সেখানেই এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল এক গৃহবধূর সঙ্গে। মহিলা জানান, বাড়িতে তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। তা আইনিভাবে প্রমাণ করতে প্রয়োজন কিছু নথিপত্রের। সেইসব সার্টিফিকেট নিতেই হাসপাতালে এসেছিলেন। সেখানকার হলে বসে অপেক্ষা করছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময় এক ওয়ার্ড বয় নিজেকে হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ হিসেবে পরিচয় দিয়ে তাঁর দিকে এগিয়ে আসে। তারপর মহিলাকে একতলার একটি ঘরে নিয়ে যায় সে। আর সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। এরপরই পুলিশের কাছে নাগারাজু নামের ওই ওয়ার্ড বয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নাগারাজুকে। জেরায় নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে সে।
পুলিশ সূত্রে খবর, হাসপাতালের এক নিরাপত্তারক্ষীকে গোটা ঘটনার কথা জানিয়েছিল ওই ওয়ার্ড বয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকেও নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তার উপর ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাফাই, প্রতিদিনই রোগীদের বিশাল ভিড় হয় হাসপাতাল চত্বরে। তবে এমন কিছু জায়গা আছে যা সাধারণত ফাঁকাই থাকে। সেখানে না আছে কোনও নিরাপত্তারক্ষী আর না সিসিটিভির ব্যবস্থা। দীর্ঘ ১৫ বছর ওই হাসপাতালে চাকরি করছে নাগারাজু। তাই হাসপাতালের আনাচে-কানাচে নখদর্পণে ছিল তার। আর সেই জন্যই এমন ঘটনা ঘটানোর জায়গা খুঁজে নিতে অসুবিধা হয়নি অভিযুক্তর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.