সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বৃদ্ধ। জ্বর, সর্দি, কাশি দেখে চিন্তায় মনে কূ ডেকেছিল পরিজনদের। তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হাসপাতালে। তবে বিশেষ সময় দেননি তিনি। শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসার আগেই মারা যান তেলেঙ্গানার বছর চুয়াত্তরের ওই বৃদ্ধ। পরে রিপোর্ট আসার পরে জানা গিয়েছে তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন। সংক্রমণের আশঙ্কায় তাঁর পরিজনদের পাঠানো হয়েছে হোম কোয়েরেন্টাইনে। তাই বৃদ্ধের শেষকৃত্য যোগ দিতে পারলেন না পরিজনরা। পরিবর্তে বৃদ্ধের শেষকৃত্য করলেন স্বাস্থ্যকর্মীরাই।
সাধারণত করোনা আক্রান্তদের দেহ হাসপাতাল থেকে বের করার সময় বেশ কিছু বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। তেলেঙ্গানার বৃদ্ধের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সংক্রমণরোধী ব্যাগে ভরে দেওয়া হয় দেহ। পরিজনরা শেষবার দেখতে পাননি তাঁকে। একে তো করোনা রোগী আবার তার উপর লকডাউন, তাই শেষকৃত্যে বিশেষ জমায়েতও করতে দেওয়া হয়নি। পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর্মীরাই সামনের সারিতে এগিয়ে আসেন। তাঁরাই শেষকৃত্য করেন করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত প্রথম বৃদ্ধের। শেষকৃত্যে থাকতে না পেরে চোখের জলে ভাসছেন পরিজনেরা। একে সংক্রমণের আশঙ্কা এবং পরিজনের প্রাণহানির জেরে হতাশ গোটা পরিবার। খাওয়াদাওয়াও প্রায় ছেড়ে দিয়েছেন তাঁরা। এদিকে, নিহতের পরিজনদের দিকে খেয়াল রেখেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। তাঁদের শারীরিক নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ রুখতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে।
তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও বলেন, “মৃত্যুর পর জানতে পারি ওই বৃদ্ধ করোনা আক্রান্ত। তাই তাঁর পরিজনদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। তাই সংক্রমণ রুখতেই সাবধান করা হচ্ছে সকলকে।” এছাড়াও পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্দেশে তাঁর বক্তব্য, “লকডাউনের মাঝে অযথা আতঙ্কিত হয়ে নিজের গ্রামে ফেরার চেষ্টা করবেন না। আমরা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য খাবার দেবো। আর্থিক সাহায্যও করা হবে তাঁদের।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.