সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘আ গুজরাট মাই বানায়ু ছে।’ অর্থাৎ ‘এই গুজরাট আমার তৈরি।’ গুজরাট নির্বাচনের (Gujarat election) আগেই নয়া স্লোগান বেঁধে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আগামী ১-৫ ডিসেম্বর দুই পর্যায়ে নির্বাচন গুজরাটে। তার আগেই মোদির মুখে এই স্লোগান। উল্লেখ্য, এদিনই তিনি গুজরাটে দলের হয়ে প্রচার শুরু করেন।
রবিবার কাপারদায় এক জনসভা করতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, ”প্রতিটি গুজরাটি আজ আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। আর তাই নিজের অন্তরাত্মার সুরে কথা বলতে শোনা যায় গুজরাটিদের। প্রতিটি শব্দই আসে গুজরাটের হৃদয় থেকে। এই গুজরাট আমার তৈরি।”
এরই পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসকে কার্যত উড়িয়ে দিতে দেখা যায় মোদিকে। তবে তিনি শতাব্দীপ্রাচীন দলের নাম সরাসরি নেননি। কিন্তু ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেন। বলেন, ”যে অপশক্তি গত ২০ বছর ধরে রাজ্যের বদনাম করে চলেছে, তাদের গুজরাট দূরে সরিয়ে দেবে।”
গত ৬টি বিধানসভা নির্বাচনে টানা জিতেছে বিজেপি। এবারও তাদের পাল্লা ভারী। তবে কংগ্রেসও নতুন করে ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া। যদিও আম আদমি পার্টির দাবি, এবারের নির্বাচন আসলে তাদের সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের লড়াই। এদিন মোদির মুখে সেই অর্থে কেজরিওয়ালের দলের বিরুদ্ধে কোনও হুঁশিয়ারি ছিল না। তবে কেজরিওয়াল শনিবার দাবি করেন, গুজরাটে পরাজয় নিশ্চিত জেনে তাঁদের সঙ্গে ‘চুক্তি’র টোপ দিয়েছিল বিজেপি।
তাঁর দাবি, গেরুয়া শিবিরের শর্ত মেনে গুজরাটের ভোট থেকে ‘সরে দাঁড়ালে’, তাঁর দলের দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ তুলে নেওয়া হবে বলে বিজেপি আশ্বাস দিয়েছিল। দিল্লির দুই আপ মন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া এবং সত্যেন্দ্র জৈনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চলছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের দাবি, গুজরাটে কেজরিওয়ালের উপস্থিতি মোটেই পছন্দ করছে না বিজেপি। সে কারণেই তারা বারবার বলছে যে, একদিকে দিল্লির দূষণে মানুষ যখন হিমশিম খাচ্ছে, তখন সে দিকে নজর না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী গুজরাটে ভোটপ্রচারে ব্যস্ত। তাছাড়া, অনেকেরই ধারণা, কেজরিওয়ালকে দিল্লিতে আটকে রাখতেই এই সময় দিল্লি পুরসভার ভোট ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.