Advertisement
Advertisement
Karnataka

‘দানবকে শেষ করেছি’, প্রাক্তন পুলিশকর্তা স্বামীকে খুনের পর বান্ধবীকে জানিয়েছিলেন স্ত্রী

'মানসিকভাবে অসুস্থ মা খুন করেছে বাবাকে', দাবি প্রাক্তন পুলিশকর্তার ছেলের।

I killed the monster, ex-Karnataka top cop's wife told friend on video call

স্ত্রীর সঙ্গে প্রাক্তন পুলিশকর্তা।

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:April 21, 2025 1:58 pm
  • Updated:April 21, 2025 1:58 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্নাটকের প্রাক্তন ডিজিপি ওম প্রকাশ খুনে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। স্বামীকে খুনের পর ১১২তে ফোন করে এই খুনের কথা পুলিশকে জানিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। শুধু তাই নয়, ঘটনার পর পল্লবী তাঁর এক বান্ধবীকে ভিডিও কল করেন এবং জানান, ‘এক দানবকে শেষ করেছি।’ কীভাবে পল্লবী তাঁর স্বামীকে খুন করেন সে তথ্যও প্রকাশ্যে এনেছে পুলিশ।

রবিবার বেঙ্গালুরুর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় কর্নাটকের প্রাক্তন পুলিশপ্রধান ওম প্রকাশের রক্তাক্ত দেহ। উদ্ধারকারী পুলিশকর্মীরা জানিয়েছিলেন, ঘরের মেঝে রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ছিল, এই ঘটনার সঙ্গে পরিবারের লোকেরাই জড়িত। পল্লবী এবং ওম প্রকাশের মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। রহস্যের সমাধানে দেহ ময়নাতদন্তেও পাঠানো হয়েছে। ওম প্রকাশের বুকে এবং পেটে একাধিক ছুরির কোপ বসানো হয়েছিল বলে জানা যায় প্রাথমিক তদন্তে। এই ঘটনার সময় ওম প্রকাশের পুত্র কার্তিকেশ বাড়িতে ছিলেন না। এফআইআর অনুযায়ী, তিনি বাড়ি ফিরে দেখেন বাবা নিচের তলায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন।

Advertisement

সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মৃতের পুত্র জানিয়েছেন, তাঁর মা স্কিজোফ্রেনিয়া নামের এক মানসিক অসুখে ভুগতেন। পরিবারের দাবি, এই অসুখের কারণে সর্বদা ভয়ে ভয়ে থাকতেন পল্লবী। তাঁর ভ্রম ছিল হয়ত তাঁর স্বামী তাঁকে খুন করবেন। সেই আতঙ্ক থেকেই এই খুন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে ঘটনার দিন প্রথমে স্বামীর চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছেটান পল্লবী। এরপর ওম প্রকাশের বুকে, পিঠে, ঘাড়ে এলোপাথাড়ি ছুরির কোপ বসিয়ে হত্যা করেন তাঁকে। খুনের পর এক বান্ধবীকে ভিডিও কল করে পল্লবী জানান, তিনি এক দানবকে হত্যা করেছেন।

এদিকে খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ আধিকারিক শ্রীনিবাস জানা, খুনের আসল উদ্দেশ্য কী তা আমাদের কাছে এখনও অজানা। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। এখনই এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো সম্ভব নয়। এদিকে সূত্রের খবর, নিজের যাবতীয় সম্পত্তি এক আত্মীয়ের নামে লিখে দিয়েছিলেন ওম প্রকাশ। সেই নিয়েই রবিবার বিকেলে তুমুল বাকবিতণ্ডা হয় ওম প্রকাশ এবং তাঁর স্ত্রীর মধ্যে। হত্যার নেপথ্যে সেটাও একটা কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ওম প্রকাশ খুনের সময় তাঁর কন্যা বাড়িতেই অন্য তলায় ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৮১-র ব্যাচের আইপিএস ওম প্রকাশ। ২০১৫ সালে তিনি কর্নাটক পুলিশের প্রধান পরিচালক (ডিজি) পদে বসেন। তার আগে দমকল, হোম গার্ড এবং আপাতকালীন পরিষেবা দপ্তরের দায়িত্ব সামলান।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement