সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষপর্যন্ত গুলি চালানোর কথা স্বীকার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) প্রতিবাদে যোগীর রাজ্যে গত কয়েকদিন ধরে যেভাবে বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়েছে, তাতে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে গুলি চালাতেই হত বলে স্বীকারোক্তি পুলিশ আধিকারিকদের। যদিও দিন কয়েক আগে ডিজি ও পি সিং দাবি করেছিলেন, পুলিশ একটাও বুলেট চালায়নি। জানা গিয়েছে, সরকারি হিসাবে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে গোটা রাজ্যে। যার অধিকাংশই পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। কিন্তু বেসরকারি সূত্রে, সেই সংখ্যা ১৮। গত শুক্রবার বিজনৌরে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ২০ বছর বয়সী সুলেমান। নিহত যুবক আইএএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে।
বিজনৌরের পুলিশ সুপার সঞ্জীব ত্যাগীর বক্তব্য, বিক্ষোভকারীদের হামলা থেকে আত্মরক্ষার তাগিদেই কনস্টেবল গুলি চালিয়ে দেয়। নিহতের পরিবারের দাবি, আইএএস পরীক্ষার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন সুলেমান। গন্ডগোলের সঙ্গে কোনও সম্পর্কই ছিল না তাঁর। তাঁর ভাই শোয়েব মালিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘দুদিন ধরে জ্বরে ভুগছিল ভাই। ঘটনার দিন নমাজ পড়তে পাশের পাড়ার মসজিদে গিয়েছিল সুলেমান। বাড়ি ফেরার সময় ও ঝামেলার মধ্যে পড়ে যায়। পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করছিল আর কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটাচ্ছিল। প্রাণে বাঁচাতে পালানোর সময় পুলিশ ওকে গুলি করে।’
পুলিশের পালটা দাবি, বিক্ষোভকারীরা কনস্টেবলের বন্দুক ছিনিয়ে নেয়। বন্দুক ফেরত আনতে গেলে বিক্ষোভকারীরা গুলি চালায় তাঁকে লক্ষ্য করে। তখন আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালায় পুলিশ। সুলেমান এবং তাঁর বন্ধু আনিসের গুলি লাগে। প্রসঙ্গত, রবিবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বিজনৌরে যান মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.