সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাত বছরের কেরিয়ারে একাধিক কাজের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন। কেরলের বন্যার সময় তাঁর ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়।বিপুল লোকসানে চলা দাদরা নগর হাভেলির বিদ্যুৎ দপ্তর তাঁর প্রশাসনিক ক্ষমতার বলেই লাভজনক সংস্থায় পরিণত হয়। মিজোরামে তাঁর অনুপ্রেরণাতেই ৩০টি ব্যাডমিন্টন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলেছেন গোপীচাঁদ। এ হেন আইএএস কান্নান গোপীনাথ এবার পদত্যাগ করলেন। তাঁর দাবি, কাশ্মীরের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদেই লোভনীয় সরকারি চাকরি ত্যাগ করেছেন ৩৩ বছর বয়সি কান্নান গোপীনাথ।
দাদরা নগর হাভেলির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের সচিব ছিলেন কান্নান। ২০১২ ব্যাচের এই আইএএস আধিকারিক বহু ক্ষেত্রে প্রশংসিত। প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরষ্কার পাওয়ার জন্যও তাঁর নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। যদিও, তিনি নিজেই পুরস্কারের জন্য আবেদন করেননি। কান্নানের ঘনিষ্ঠ মহল বলছে, তিনি বরাবরই পেশার ক্ষেত্রে সৎ। এবং প্রকৃত দেশসেবার লক্ষ্যেই তিনি আইএএস হয়েছেন, পুরস্কারের লোভে নয়। হঠাৎই তাঁর পদত্যাগের সিদ্ধান্তে চমকে গিয়েছেন বন্ধুরাও।
কিন্তু, কেন পদত্যাগ? ইস্তফাপত্রে ‘কাশ্মীর’ কথাটি উল্লেখ না করলেও তাৎপর্যপূর্ণভাবে তিনি লিখছেন, “ভেবেছিলাম সিভিল সার্ভিসে থেকে মানুষের বক্তব্য তুলে ধরতে পারব। দেখলাম আমার কণ্ঠই রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে।” আইএএস অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে খবর, জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব হওয়ায় কান্নান ক্ষুব্ধ। তাঁর কথায়, মৌলিক অধিকার খর্ব হওয়ার অর্থ জরুরি অবস্থা জারি হওয়া। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে কান্নান বলেছেন, “জম্মু ও কাশ্মীরে লক্ষ লক্ষ মানুষের নাগরিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। অথচ, দেশের বেশিরভাগ মানুষ কোনও প্রতিবাদ জানাচ্ছে না। ২০১৯ সালে দাঁড়িয়ে এটা হচ্ছে, ভাবা যায় না। ৩৭০ বিলোপ টা ইস্যু নয়, ইস্যু হল মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। এমনকী একজন প্রাক্তন আইএএস অফিসারকে বিমানবন্দরে আটক করা হল। অথচ কেউ কোনও প্রতিবাদ করল না।”
গোপীনাথের এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেনি নেটিজেনরা। তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশবিরোধী আখ্যা দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.