সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের পড়ুয়াদের গতিবিধি বাঁধতে চেয়ে বিতর্কে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আইআইটি বম্বের হস্টেলের আবাসিকরা কোনও ‘দেশ বিরোধী’ অথবা ‘অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ডে’ অংশ নিতে পারবেন না। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডিন এক ইমেল মারফৎ একথা সমস্ত পড়ুয়াকে জানিয়ে দিয়েছেন। এমনকী তাঁদের ‘সমাজবিরোধী ক্রিয়াকলাপে’ জড়িয়ে না পড়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ‘জাতীয়তা বিরোধী’ ক্রিয়াকলাপ বলতে ঠিক কী বোঝানো হচ্ছে, সে সম্পর্কে কোনও ব্যাখা দেওয়া হয়নি। ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, CAA বিরোধী আন্দোলনে লাগাম পড়াতেই এই তৎপরতা।
ওই ইমেলে ১৫টি পয়েন্টের উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, মূলত হস্টেল চত্বরে শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিজেপির বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা নাকি সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে ‘জাতীয়তা বিরোধী’ তকমা এঁটে দিচ্ছে। সম্প্রতি বিজেপি নেতা বিজয় গোয়েল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমালোচকদের সমালোচনা করার সময় তাঁদের ‘জাতীয়তা বিরোধী’ বলে অভিযোগ করেন।
২০১৯-এর ডিসেম্বরে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ হয়। বিরোধীদের অভিযোগ, এই আইন দেশে ধর্মের ভিত্তিতে ভেদাভেদ তৈরি করছে। আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ তৈরি হয়েছে। পথে নেমেছেন বিশিষ্টজন থেকে আম জনতা। সবচেয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি হয়ছিল দিল্লির রাজপথে। পড়ুয়াদের আন্দোলন সামাল দিতে দিল্লি পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। কনকনে ঠাণ্ডায় জল কামান চালাতে বাধ্য হয়েছিল তারা। তারপরও নিজেদের অবস্থানে অনড় কেন্দ্র সরকার। বরং খোদ প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, প্রতিবেশী দেশগুলির ঐতিহাসিক ভুল শোধরাতেই এই আইন পাশ করা হয়েছে। এদিকে পড়ুয়াদের উপর মর্মান্তিক অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন দেশ-বিদেশের পড়ুয়ারাও।
দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়ে মুম্বইয়ের ইন্ডিয়া গেটে জমায়েত করেছিলেন বম্বে আইআইটির পড়ুয়ারা। সেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৪১জন অধ্যাপকের স্বাক্ষর সম্বমিত চিঠিও পাঠানো হয়েছিল। এরপরই ডিনের তরফে এহেন নির্দেশিকা জারি করা হল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.