সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি মুসলিম নন। তাহলে আজানের শব্দে তাঁর ঘুম ভাঙবে কেন? এ প্রশ্ন তুলেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছিলেন গায়ক সোনু নিগম। সে ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের শব্দ দূষণ ও মসজিদ চলে এল বিতর্কের শীর্ষে। এবার অবশ্য এক পাঠ্যপুস্তকের ছবিকে কেন্দ্র করে। যেখানে শব্দ দূষণের একাধিক উৎসের মধ্যে ছাপা হয়েছে মসজিদের ছবিও।
[ মা-বাবার ব্যবহৃত কন্ডোম নিয়ে এ কী করল মেয়ে! ]
টুইটারে আজান নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তুমুল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল সোনুকে। অনেকে তাঁকে মুসলিম বিরোধী বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। এমনকী এক তথাকথিত মৌলবি ফতোয়াও জারি করেছিলেন। যদিও সোনু জানিয়েছিলেন, তিনি মুসলিমদের ধর্মাচরণের বিরোধী নন। কোনও ধর্মেরই বিরোধী নন। কিন্তু ধর্মস্থানে তা সে মসজিদ বা গুরুদ্বার যাই-ই হোক, লাউডস্পিকার ব্যবহারের বিরোধী। তাঁর বিরুদ্ধে অবশ্য এ নিয়ে মামলা দায়েরও হয়েছিল। কিন্তু শেষমেশ আদালতও স্বীকার করে নেয়, কোনও ধর্ম বিরোধী মন্তব্য করেননি সোনু, বরং লাউডস্পিকারের ব্যবহার নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছেন, সে প্রশ্ন আগেও উঠেছে। এবং এ নিয়ে বিভিন্ন সময়েই সচেতন ব্যক্তিরা সরব হয়েছেন।
[ তাক লাগানো ‘লং লেগস’, বিশ্বরেকর্ডের অপেক্ষায় এই প্রাক্তন অলিম্পিয়ান ]
এ ঘটনার ঠিক কয়েকদিন পরই মাথাচাড়া দিল নয়া বিতর্ক। এবার আইসিএসই বোর্ডের স্কুলের এক পাঠ্যপুস্তকে দেখা গেল শব্দ দূষণের উৎস বোঝাতে দেখানো হল মসজিদকে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ওই বইতে শব্দ দূষণের বিভিন্ন উৎস সম্পর্কে শেখানো হচ্ছিল। সেখানেই স্পিকার, জেট প্লেন, গাড়ির হর্ন ইত্যাদির কথা বলা হয়েছে। এবং সেই সঙ্গে যে ছবি ছাপা হয়েছে সেখানে রাখা হয়েছে মসজিদের ছবিও। এ নিয়েই জমেছে বিতর্ক। লাউড স্পিকার ব্যবহারের বোঝাতে কেন মসজিদকেই বেছে নেওয়া হল, সে প্রশ্ন উঠেছে। অন্যান্য ধর্মস্থানেও লাউড স্পিকার ব্যবহার হয়, এছাড়া মিটিং মিছিলে তো হয়ই। সুতরাং অন্যভাবে এ উদাহরণ বোঝানো যেত। তাহলে কি কোথাও কোনও ধর্মীয় মেরুকরণ অজান্তেই কাজ করছে? এবং খুদে পড়ুয়াদের উপর তার প্রভাবই বা কী পড়বে? প্রশ্নগুলো ঝুলছে বটে, কিন্তু এখনও কোনও উত্তর অবশ্য বোর্ডের তরফে মেলেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.