সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (LAC) ভারত ও চিনা সেনার মধ্যে অবশ্যম্ভাবী সংঘর্ষ এড়াতে আজ বৈঠকে বসছেন দুই দেশের সেনাকর্তারা। বৈঠকের ফলাফলের উপরই নির্ভর করছে, লাদাখ এবং সিকিম সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হবে, নাকি বিবাদ ভুলে ‘হিন্দি চিনি ভাই ভাই’ মন্ত্রে আস্থা রাখবে দুই দেশ। বৈঠকের আগে দুই দেশই খানিকটা সুর নরম করেছে। ভারত ও চিনের ‘মতপার্থক্য’ যাতে কোনওভাবেই বিবাদে পরিণত হয়, সেটা নিশ্চিত করতেই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানসুত্র চাইছে নয়াদিল্লি এবং বেজিং।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ের এই বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন লাদাখে সেনাবাহিনীর ১৪ নম্বর কোরের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং। যিনি এর আগে ঠাণ্ডা মাথায় বহু সমস্যা মিটিয়েছেন। কাশ্মীরে হিজবুল, লস্করের বাড়বাড়ন্ত থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীর অন্দরের দ্বন্দ্ব, যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিদ্ধহস্ত এই লেফটেন্যান্ট জেনারেল। অন্যদিকে চিনের তরফে বৈঠকে আসছেন পিপলস লিবারেশন আর্মির দক্ষিণ জিনজিয়াং মিলিটারি রিজিয়নের কম্যান্ডার জেনারেল লিউ লিন। এই বৈঠক হবে চিনের মালডো এলাকায়।
সূত্রের খবর, আজকের বৈঠকে চতুর্মুখী কৌশল নিয়ে যাচ্ছে ভারত। ভারতীয় সেনার তরফে চিনকে চারটি প্রস্তাব দেওয়া হবে। এক, প্যাংগং হ্রদ, গালওয়ান উপত্যকা, এবং গোগরা উষ্ণ প্রস্রবণ থেকে দু’দেশই বাড়তি কয়েক হাজার সেনা প্রত্যাহার করবে। সেই সঙ্গে আধুনিক অস্ত্রসস্ত্র যা মজুত করা হয়েছে, তাও সরিয়ে নেবে। দুই, ভারত নিজের এলাকায় রাস্তা, ব্রিজ, ফিডার রোড তৈরি করলে চিন বাধা দেবে না। তেমনি চিন রাস্তা তৈরি করলে ভারতও নাক গলাবে না। তিন, কোনও পক্ষের সেনাই টহলদারিতে একে অপরকে বাধা দেবে না। কোনও উসকানিমুলক টিকা-টিপ্পনি করবে না। চার, যদি কোনও সংঘাতের পরিবেশ সৃষ্টিও হয় তাতেও কেউ অস্ত্র ব্যবহার করবে না। খালি হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করবে। সবসময়ই ‘গান ডাউন পজিশন’ বজায় থাকবে। এখন ভারতের এই প্রস্তাবে চিন কতদূর সম্মতি দেয় তার উপর নির্ভর করছে দু’দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.