সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘নিজের গালে নিজেই চড় মারছে ভারত’। এভাবেই ফের ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়াল চিন। এবার সীমান্ত বিবাদের সমস্ত দায় দিল্লির ঘাড়ে চাপানোর নয়া পন্থা নিয়েছে বেজিং। বৃহস্পতিবার, চিনা বিদেশমন্ত্রক দাবি করেছে, লাদাখ সেক্টরে বিতর্কিত জমিতে সড়ক তৈরি করছে ভারত। ডোকলামে চিনের সড়ক নির্মাণে বাধা দিয়ে নিজের দ্বিচারিতারই প্রমাণ দিয়েছে দিল্লি।
সূত্রের খবর, লাদাখ সেক্টরে ‘মারসিমিক লা’ থেকে ‘হট স্প্রিং’ পর্যন্ত একটি সড়ক তৈরি করছে ভারত। চিনা আগ্রাসনের মুখে সীমান্তবর্তী এলাকায় পরিকাঠামো মজবুত করে তুলছে দিল্লি। শুধু লাদাখেই নয় অরুণাচল প্রদেশ, কাশ্মীর-সহ চিন সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলিতে সেনা ঘাঁটি মজবুত করছে ভারত। আর এতেই অশনি সংকেত দেখছে কমিউনিস্ট দেশটি। বেজিংয়ের দাবি চিনের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের অভিযোগ এনে ভারত নিজেই আগ্রাসন চালাচ্ছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ‘ব্রিকস সামিট’-এর আগে চিনের এই আস্ফালন ভারতকে চাপে রাখার পন্থা বলেই মনে করছেন কূটনীতিবিদরা। সেপ্টেম্বরের প্রথমদিকে চিনে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এই সামিট। সেখানে উপস্থিত থাকবেন ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন ও দক্ষিণ আফ্রিকার জনপ্রতিনিধিরা। ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কূটনৈতিকভাবে বেকায়দায় ফেলতে চাইছে বেজিং বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রায় দু’মাস ধরে সিকিম সেক্টরে ডোকলাম নিয়ে প্রবল চাপানউতোর চলছে দিল্লি ও বেজিংয়ের মধ্যে। দু’দেশেই সীমান্তে মোতায়েন করেছে হাজার হাজার সেনা। তবে প্রথমদিকে কূটনৈতিক স্তরে সমস্যার সমাধানের কথা বললেও সম্প্রতি যুদ্ধের হুমকি দিচ্ছে সে দেশ। অনেকেই মনে করছেন, সে দেশের কমিউনিস্ট পার্টির অন্দরে বাড়ছে চরমপন্থীদের সংখ্যা। তাঁদের চাপেই সুর চড়াতে বাধ্য হয়েছে চিনা বিদেশমন্ত্রক। এছাড়াও রয়েছে লালফৌজের প্রভাব। সম্প্রতি ভারতে যাওয়ার ক্ষেত্রে নাগরিকদের বেশ কিছু সতর্কবার্তা দিয়েছে চিন। ভারতে চিনা নাগরিকদের পর্যটনে ভাটা আনতেই এই পদক্ষেপ চিনের বলে মনে করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ডোকলামে অনড় থেকে চিনের ষড়যন্ত্র বিফল করে দিয়েছে ভারত। যুদ্ধের হুঙ্কার দিলেও ভারতীয় সেনার শক্তি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল বেজিং। তাই সরাসরি যুদ্ধের পথে হাটবে না সে দেশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.