সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডোকলামে মুখ পুড়লেও ফের থাবা বাড়াচ্ছে ‘ড্রাগন’। তবে এবার তারা কিছুটা সতর্ক। গায়ের জোর ফলানোর চাইতে ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের’ দিকেই ঝুঁকেছে বেজিং। তবে এবারও বানচাল হয়েছে লালফৌজের ছক। অরুণাচল প্রদেশে ভারতীয় সেনার দাপটে ফের কেঁচোর মতো নিজেদের গুটিয়ে নিয়ে সরে পড়েছে চিনা সেনা।
[রাস্তা তৈরির সরঞ্জাম নিয়ে ভারতীয় ভূ-খণ্ডে ঢুকে পড়ল লালফৌজ]
জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেই অরুণাচল প্রদেশের টুটিং এলাকায় অনুপ্রবেশ চালায় চিনা সেনা। নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতীয় সীমার প্রায় এক কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে পড়ে লালফৌজ। ওই এলাকায় একটি সড়ক নির্মাণও শুরু করে দেয় তারা। তারপরই রুখে দাঁড়ায় ভারতীয় জওয়ানরা। বাজেয়াপ্ত করা হয় সড়ক নির্মাণের সমস্ত যন্ত্রপাতি। তারপরই দুই সেনার মধ্যে ছড়ায় প্রবল উত্তেজনা। লালফৌজের সৈন্যদের বক্তব্য, তাঁদের নির্দেশ দেওয়া আছে ওই অঞ্চল না ছাড়তে। ফলে উপরমহল থেকে নির্দেশ না আসা পর্যন্ত তাঁরা জায়গা ছাড়তে পারবে না। তারপরই দু’দেশের সেনা আধিকারিকদের মধ্যে একটি আলোচনার পর এলাকা ছেড়ে চলে যায় চিনা সৈন্যরা। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, এই অনুপ্রবেশের নেপথ্যে রয়েছে বেজিং ও লালফৌজের শীর্ষ নীতি নির্ধারকরা। এভাবেই ভারতের উপর চাপ তৈরি করতে চাইছে শি জিনপিংয়ের সরকার।
তবে শান্তিপূর্ণভাবেই টুটিং সমস্যার সমাধান হয়েছে বলে সোমবার জানান ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। তিনি আরও জানান, দু’দিন আগেই ওই সেক্টরে চিন ও ভারতের মধ্যে ‘বর্ডার পার্সোনাল মিটিং’ হয়। দুই দেশের সেনার আধিকারিকরাই নিজেদের বর্তমান অবস্থান বানিয়ে রাখায় সহমত হয়েছেন। ওই অঞ্চলে সড়ক নির্মাণ বন্ধ করেছে চিন। ভারতও আটকে রাখা যন্ত্রপাতি ফিরিয়ে দিয়ে আপাতত পরিস্থিত স্বাভাবিক করা চেষ্টা করছে। জানা গিয়েছে, ডোকলামের মতো এখানে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার আগেই নিজেদের এলাকায় ফিরে গিয়েছে চিনা বাহিনী। তবে এই ঘটনায় চিনের অভিসন্ধি আরও স্পষ্ট হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
[ভারতের কাছে মাথা নত ড্রাগনের, ডোকলাম নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত লালফৌজ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.