সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রুশ পৌরহিত্যেও মিটছে না ভারত-চিন সংঘাত। এবার লালফৌজের সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। লাদাখ সীমান্তে সংঘাতের আবেহ রাশিয়ায় হতে চলা এই মহড়ায় অংশ নেওয়া সম্ভব নয় বলেই মনে করছে ভারত।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, যৌথ মহড়া থেকে নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে শীঘ্রই রাশিয়াকে চিঠি দিতে চলেছে ভারত। তবে শুধু চিনের সঙ্গে সংঘাত নয়, দেশে করোনা সংক্রমণের রেকর্ড বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখেও উত্তর রাশিয়ার আস্ত্রাখান অঞ্চলে হতে চলা এই মহড়ায় অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক শীর্ষই সেনাকর্তা।
‘ক্যাভকাজ় ২০২০’ নামে ওই সামরিক মহড়ায় আয়োজক রাশিয়া-সহ ১৯টি দেশ অংশ নেবে। তাদের মধ্যে রয়েছে চিন ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। কথা ছিল, সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণকারী সমস্ত সৈনিকদের করোনা পরীক্ষার পর ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এর পরে রাশিয়া পৌঁছনোর পরে আর এক দফা করোনা পরীক্ষা করা হবে সকলের। বিশেষ বাহিনী-সহ বিভিন্ন বিভাগের সেনা অফিসাররা যোগ দেবেন ওই দলে। থাকবেন ভারতীয় বায়ুসেনা ও নৌসেনার প্রতিনিধিও। সূত্রের খবর, সেপ্টেম্বরের ১৫ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত চলবে মহড়া। বাহিনীর পাশাপাশি তিনটি জাহাজও মহড়ায় শামিল করতে চলেছে চিন।
বিশ্লেষকদের মতে, চিন-ভারত সংঘাত মেটাতে পর্দার আড়ালে থেকে চেষ্টা চালাচ্ছে রাশিয়া। বেজিং আর নয়াদিল্লি দুইয়ের উপরই প্রভাব থাকায় এই কাজে সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে মস্কো। আর সাউথ ব্লকও চাইছে রুশ হস্তক্ষেপে বিবাদ মেটাতে। ফলে সামরিক মহড়ার অংশ নিতে রাজি হয়েছিল ভারত। কিন্তু পূর্ব লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে চিনা সেনা না সরায় অবস্থান বদল করেছে নয়াদিল্লি। সীমান্তে সংঘর্ষের আবহে স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখা সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নীতি নির্ধারকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.