ফাইল ছবি
নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: সীমান্তে লাগাতার যুদ্ধ জিগির পাকিস্তানের। কিন্তু ভারতের প্রতিরোধ এবং প্রত্যাঘাতে দিশাহারা ইসলামাবাদ। এহেন পরিস্থিতিতে বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি জানিয়ে দিলেন, পাকিস্তান ভারত বিভাজন ঘটানোর চেষ্টা করছে। পাশাপাশি আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের ঐক্যে ফাটল ধরাতেও ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে পাকিস্তান।
এদিন বিক্রমকে বলতে শোনা যায়, ”ভারতের কোনও মিসাইল আফগানিস্তানে আছড়ে পড়েনি। আফগান নাগরিকরা যেন না ভোলেন যে কোন দেশ সেখানকার নাগরিকদের উপরে হামলা চালায়।” সেই সঙ্গেই তাঁর দাবি, ”পাকিস্তানের ভারতকে বিভক্ত করার মতলব ব্যর্থ হবেই।” বিদেশ সচিবের আর্জি, ”পাকিস্তানের মিথ্যে অপপ্রচারে কান দেবেন না। পাকিস্তান নিরীহ নাগরিক ও নাগরিক নির্মাণকে টার্গেট করছে, বিশেষত জম্মু ও কাশ্মীর এবং পাঞ্জাবে। চেষ্টা চালাচ্ছে সম্প্রদায়ের মধ্যে মতভেদ সৃষ্টি করার।”
সেই সঙ্গেই বিক্রম জানান, ”আমি আগেও অনেকবার বলেছি, পাকিস্তান উসকানি এবং উত্তেজনা বৃদ্ধির চেষ্টা করেই চলেছে। জবাবে ভারত তা প্রতিহত করেছে এবং পরিমিত প্রতিরক্ষা এবং প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। আজ সকালেও আমরা এই উত্তেজনা ও উসকানিমূলক প্রচেষ্টার পুনরাবৃত্তি প্রত্যক্ষ করেছি।”
প্রসঙ্গত, শনিবার ভোরে জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় আক্রমণ চালায় পাকিস্তান। ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ জম্মু শহরে বিরাট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এছাড়া ভোর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুর, আখনুর, রাজৌরি, পুঞ্চ, পাঠানকোট-সহ একাধিক জায়গায় শোনা যায় বিস্ফোরণের শব্দ। ফলে পিছিয়ে দেওয়া হয় সেনাবাহিনীর সাংবাদিক বৈঠক। শুক্রবারও একইভাবে সাধারণ মানুষকে আক্রমণ করেছিল পাকিস্তান। ওই বর্বর হামলায় এক সরকারি আধিকারিক-সহ তিন জনের মৃত্যু ঘটেছে। রাজৌরির ও্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট কমিশনার রাজকুমার থাপার বাড়িতে একটি শেল এসে পড়ে। প্রথমে গুরুতর আহত হলেও পরে তাঁর মৃত্যু ঘটে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা শোকপ্রকাশ করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.