ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুরু হয়েছিল কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর থেকে। প্রতিদিনই সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে কাশ্মীর সীমান্তের ওপার থেকে গোলাগুলি ছুঁড়ছিল পাকিস্তান। সম্প্রতি লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনের সেনার মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ার পর আরও সুযোগ পেয়ে যায় তারা। কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই (ISI) ও সেদেশের সেনাবাহিনীর কর্তারা। দিনের বেশিরভাগ সময়েই সীমান্তের ওপারে থেকে গোলাগুলি ছোঁড়ার ফাঁকে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করে। ভারতের তরফেও প্রতিবার তার যোগ্য জবাব দেওয়া হয়। তবে এবার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করার জন্য তীব্র প্রতিবাদ জানানোর সঙ্গে সঙ্গে ইসলামাবাদকে কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হল দিল্লির তরফে। ফের এই ধরনের ঘটনা ঘটলে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে বলে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হল।
শুক্রবার ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের একটি সূত্র থেকে জানা যায়, এবছর জুন মাস পর্যন্ত পাকিস্তানের সেনাবাহিনী মোট ২ হাজার ৪৩২ বার সংঘর্ষবিরতি (ceasefire) লঙ্ঘন করে গুলি ছুঁড়েছে। এর ফলে ১৪ জন ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে এবং ৮৮ জন জখম হয়েছে। কোনও প্ররোচনা ছাড়া কাশ্মীর সীমান্তে গুলি না চালানোর বিষয়ে ২০০৩ সালে একটি সমঝোতা করেছিল ভারত ও পাকিস্তান। ভারত সেই সমঝোতা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চললেও পাকিস্তান কথা রাখেনি। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে জঙ্গিদের ভারতে অনুপ্রবেশ করানোর জন্য বারবার সেই সমঝোতা ভেঙেছে। ভারতের দিক থেকে কোনও প্ররোচনা না ছাড়াই গুলি চালিয়েছে পাকিস্তানের সেনা। যদিও জবাব দিতে পিছপা হয়নি ভারতীয় জওয়ানরা।
পাকিস্তানের এই ধরনের দুঃসাহসিকতা যে নয়াদিল্লি পছন্দ করছে না এবার তা স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভারতীয় আধিকারিক জানাচ্ছেন, আন্তর্জাতিক সীমান্ত ও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে গুলিচালনার বিষয়ে এবার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তারপরও যদি তারা কথা না শোনে তাহলে যোগ্য জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.