প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকাশিত হয়েছে ২০২০ সালের বিশ্ব ক্ষুধা সূচক (Global Hunger Index)। তাতে দেখা যাচ্ছে, ১০৭টি দেশের মধ্যে ৯৪ তম স্থানে রয়েছে ভারত (India)। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানেরও পিছনে। গত বছরও শোচনীয় অবস্থান ছিল ভারতের। সেবার ১১৭টি দেশের মধ্যে ১০২ নম্বরে ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘নিউ ইন্ডিয়া’। ক্ষুধা ও অপুষ্টির নিরিখে এই তালিকাটি তৈরি হয়। সূচক অনুযায়ী ভারতের অবস্থান ‘গুরুতর’ বিভাগে। বাংলাদেশ, মায়ানমার, পাকিস্তানও এই বিভাগেই পড়ছে। তবে তাদের অবস্থান ভারতের আগে। বাংলাদেশের অবস্থান ৭৫। মায়ানমার ও পাকিস্তান যথাক্রমে রয়েছে ৭৮ ও ৮৮ নম্বরে।
বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে ১৪ শতাংশ মানুষ অপুষ্টির শিকার। শিশুদের ক্ষেত্রে হারটা আরও বেশি। দেশের ৩৭.৪ শতাংশ শিশু, যাদের বয়স পাঁচের নীচে তাদের দেহের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কম। ১৭.৩ শতাংশের দৈহিক উচ্চতা স্বাভাবিকের তুলনায় কম। এরা সকলেই অপুষ্টিতে ভুগছে। অনূর্ধ্ব পাঁচের শিশুদের ক্ষেত্রে মৃত্যুহার ৩.৭ শতাংশ। কেন এই অবস্থা ভারতের? বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যথাযথ পর্যবেক্ষণের অভাব, দুর্বল বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ইত্যাদি নানাবিধ কারণেই শোচনীয় হয়ে উঠেছে ভারতের অবস্থান।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৯১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পরিসংখ্যান থেকে দেখা গিয়েছে, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তানে শিশুদের মধ্যে অপুষ্টিজনিত রোগের অন্যতম কারণ হল পরিবারের দারিদ্র, সঠিক মানের খাবারের অভাব, প্রসূতির পুষ্টির অভাবের মতো নানা বিষয়।
ভারতের প্রতিবেশীদের মধ্যে অপেক্ষাকৃত ভালো জায়গায় নেপাল ও শ্রীলঙ্কা। তালিকায় নেপাল রয়েছে ৭৩ নম্বরে। শ্রীলঙ্কার অবস্থান ৬৪তম। এই দুই দেশের অবস্থান হয়েছে ‘মাঝারি’ বিভাগে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, সামগ্রিকভাবে বহু দেশেরই পরিস্থিতি ক্রমশ ভালো হয়েছে আগের তুলনায়। কিন্তু বাকি দেশগুলির অবস্থা শোচনীয়। তালিকার শীর্ষে রয়েছে চিন, বেলারুশ, ইউক্রেন, তুর্কি, কিউবা, কুয়েতের মতো সতেরোটি দেশ। যাদের স্কোর পাঁচেরও নীচে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.