সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোহিনুর বিতর্কে বাড়ল টানাপোড়েন। এবার ঐতিহাসিক হিরেটিকে দেশে ফেরত আনার প্রশ্নে ইঙ্গিতপূর্ণ বিবৃতি দিল বিদেশমন্ত্রক। জানানো হয়েছে, এই সমস্যার ‘সন্তোষজনক সমাধান’ খুঁজতে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, “বিষয়টি (কোহিনুর) আমরা একাধিকবার ব্রিটিশ সরকারের কাছে তুলে ধরেছি। এই সমস্যার সন্তোষজনক সমাধানের পথ খুঁজছি আমরা।” বিশ্লেষকদের মতে, রানি এলিজাবেথের (Queen Elizabeth) মৃত্যু ফের কোহিনুর ইস্যুকে উসকে দিয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশের খনি থেকে পাওয়া ওই ১০৫.৬ কারাটের অমূল্য হিরেটিকে নিয়ে নয়াদিল্লি ও লন্ডনের টানাপোড়েন দীর্ঘদিনের। বহুদিন ধরেই লুঠ হওয়া হিরেটিকে দেশে ফেরানোর দাবি জানাচ্ছে বিজেপি। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এই প্রথম সরাসরি কোহিনুর দেশে ফেরানো নিয়ে মন্তব্য করল মোদি সরকারের বিদেশমন্ত্রক।
উল্লেখ্য, ১৮৪৯ সেলে ভারত থেকে কোহিনুর হীরা ইংল্যান্ডে নিয়ে যায় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। সেখানে রানি ভিক্টোরিয়া হিরেটিকে রাজভূষণের অংশ করে নেন তিনি। ১৯৩৭ সালে রাজা পঞ্চম জর্জের রাজ্যাভিষেকের সময় তাঁর স্ত্রী রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মুকুটে বসানো হয় কোহিনুরকে।
প্রসঙ্গত, মসনদে বসার প্রায় আট মাস পর রাজ্যাভিষেক হতে চলেছে রাজা তৃতীয় চার্লসের (Charles III)। মঙ্গলবার বাকিংহাম প্যালেসের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আগামী বছর বা ২০২৩ সালের ৬ মে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে হবে অনুষ্ঠান। ওই অনুষ্ঠানে ক্যামিলাকেও রানি ঘোষণা করা হবে। তিনি কোহিনুর খচিত মুকুট পরবেন। কিন্তু এনিয়ে সদ্য ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে ক্যামিলার মুকুটে কোহিনুর নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বিজেপি। ‘দ্য টেলিগ্রাফ’-এর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যাভিষেকে ক্যামিলার মুকুটে কোহিনুর থাকবে কি না? এই প্রশ্নে দ্বিধায় ভুগছে বাকিংহাম প্যালেস। কারণ, এনিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে ভারতের বর্তমান শাসকদল বিজেপি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.