সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের সাধারণ নাগরিককে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর তত্ত্ব নাকচ করে দিল ভারত। সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরির প্রশ্ন, আমজনতার শেষকৃত্য সামরিকভাবে কেন সম্পন্ন করা হল? তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, বারবার লস্করের শাখা সংগঠনকে বাঁচাতে কেন উদ্যোগী হয় পাকিস্তান? মিসরি আরও বলেন, জঙ্গি দমনে ভারত বারবার নানা তথ্য দিয়ে পাকিস্তানকে সাহায্য করেছে ভারত। কিন্তু ইসলামাবাদের তরফে কোনও সদর্থক পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি।
অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। অন্তত ১০০ জন জঙ্গি নিকেশ হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। তারপরেই জানা গিয়েছে, জঙ্গিনেতাদের শেষকৃত্যে হাজির ছিলেন পাক সেনাকর্তার। জঙ্গিদের কফিন মোড়া হয়েছিল পাকিস্তানের পতাকায়। কারি আবদুল মালিক, খালিদ এবং মুদাসসির- এই তিন জঙ্গি নেতাকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য দেওয়া হয়েছে পাক সেনার উপস্থিতিতে। লস্করের সঙ্গে যুক্ত এই তিন জঙ্গি নেতাই নিকেশ হয়েছে মুরিদকেতে।
বৃহস্পতিবার অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ফের সাংবাদিক বৈঠক করেন বিদেশ সচিব। তিন জঙ্গি নেতার শেষকৃত্যের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাধারণ নাগরিককে তো এভাবে বিদায় জানানো হয় না। তাহলে পাক সরকার কেন বলছে ভারত আমজনতাকে নিশানা করে হামলা চালাচ্ছে? নিজের বক্তব্যের সমর্থনে একটি ছবিও দেখান। মিসরি বলেন, “বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর পাকিস্তান। রাষ্ট্রসংঘে লস্করের ছায়াসঙ্গীর বিরুদ্ধে যতবার ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে, ততবার রুখে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান। ওসামা বিন লাদেনকে কোথায় পাওয়া গিয়েছিল, কারা তাকে শহিদের মর্যাদা দিয়েছিল, সেটা নিশ্চয় মনে করিয়ে দিতে হবে না।”
পহেলগাঁও হামলার পরে যৌথ তদন্তের দাবি তুলেছে পাকিস্তান। সেই প্রসঙ্গে মিসরি বলেন, মুম্বই বা পাঠানকোটের হামলার পর প্রচুর তথ্যপ্রমাণ তুলে দেওয়া হয়েছিল পাকিস্তানের হাতে। তা সত্ত্বেও ইসলামাবাদ জঙ্গিদমনে কোনও পদক্ষেপ করেনি। বিদেশসচিব আবারও মনে করিয়ে দিয়েছেন, ভারত কেবল জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করেই হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তান যদি উসকানি না দেয় তাহলে ভারতও পালটা হামলা চালাবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.