সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বারবার কথার খেলাপ করছে চিন (China)। লাদাখ সীমান্ত থেকে কিছুতেই সরছে না লালফৌজ (PLA)। চিনের চোখে চোখ রেখে জবাব দিতে প্রস্তত হচ্ছে ভারতীয় সেনাও। এ মাসের শেষেই ভারতের হাতে এসে পৌঁছবে বিধ্বংসী যুদ্ধবিমান রাফালে (Rafale Jet)। তাকে আরও শক্তিশালী করতে ফ্রান্স থেকে আসছে হ্যামার মিসাইল (HAMMAR Missile)। রাফালে যুদ্ধবিমানেই সেগুলিতে সংযুক্ত করা হবে বলে খবর। ফলে দূর থেকেই শক্রকে ধ্বংস করতে পারা যাবে। এদিকে ওড়িশার চাঁদিপুর থেকে সফল উৎক্ষেপণ হয়েছে অ্যান্টি -ট্যাংক গাইডেড মিসাইল ধ্রুবাস্ত্র। যা হেলিকপ্টার থেকে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। সবমিলিয়ে বায়ুসেনা যে অত্যাধুনিক অস্ত্রে সেজে উঠছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, খুব অল্প সময়ের নোটিসে হ্যামার (HAMMAR) মিসাইল সরবরাহ করতে নির্দেশ দিয়েছে মোদি সরকার। এই মিসাইলগুলি ৬০-৭৯ কিলোমিটার দূরে থাকা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে হানতে সক্ষম এই মিসাইল। ক্ষেপণাস্ত্রটি বায়ু থেকে ভূমিতে আঘাত করতে পারে। এগুলি মূলত ফরাসি বায়ুসেনা ও নৌবাহিনী ব্যবহার করে। এই ক্ষেপণাস্ত্র হাতে এলে পাহাড়ি অঞ্চলে থাকা শত্রুদের বাঙ্কার, সেনাঘাঁটিতে হামলা চালানো সহজ হবে। বলাই বাহুল্য ক্ষেত্রে লাদাখ সীমান্তে ঘাপটি মেরে থাকা লালফৌজের কথা মাথায় রেখেই এই ক্ষেপণাস্ত্র আনা হচ্ছে।
এদিকে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও (Defence Research and Development Organisation) অ্যান্টি-ট্যাংক গাইডেড মিসাইল ধ্রুবাস্ত্র তৈরি করেছে। এটি মূলত ভারতীয় সেনার হাতে থাকা ‘নাগ হেলিনা’ মিসাইলের হেলিকপ্টার ভার্সন। গত ১৫ জুলাই দু-বার এবং ১৬ জুলাই একবার পরীক্ষা চালানো এই অ্যান্টি-ট্যাংক গাইডেড মিসাইলের। পরীক্ষায় তিনবারই সফল ভাবে টপ অ্যাটাক মোডে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে গিয়ে আঘাত হেনেছে এই মিসাইল।
নাগ হেলিনা ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী সবচেয়ে শক্তিশালী মিসাইলগুলির মধ্যে একটি। এর পাল্লা ৫০০ মিটার থেকে ২০ কিলোমিটার। দিনে হোক বা রাতে, এই মিসাইল সঠিক নিশানায় আঘাত হানতে সক্ষম। এতে রয়েছে বিশেষ ধরনের বৈদ্যুতিন সেন্সর, যা চট করেশত্রুপক্ষের রাডারে ধরা পড়ে না। সবমিলিয়ে ক্রমাগত শক্তিশালি হচ্ছে বায়ুসেনার হাত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.