সংবাদ প্রাতদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা প্রতিষেধক থেকে প্রতিরক্ষা বাণিজ্য সম্প্রতি কোয়াডের (QUAD) বৈঠকে মোট পাঁচটি বিষয়ের উপর সহমত হয়েছে ভারত-আমেরিকা।
কূটনৈতিক মহলের দাবি, এই পাঁচ বিষয়ের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ২০২২ সালের মধ্যে করোনাকে শেষ করা। ঐতিহাসিক বৈঠকের পরদিন কলম ধরলেন চতুর্দেশীয় অক্ষ বা কোয়াডের রাষ্ট্রপ্রধানরা। ‘ওয়াশিংটন পোস্টে’ নিজেদের কলামে দাবি করলেন, করোনা ভাইরাস মহামারীর ফলে পৃথিবীর বুকে যে অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, সেখান থেকে আগামিদিনের ‘পথকে আলোকিত করতে আশার কিরণ’ দেখাবে চার দেশের সম্পর্ক।
সম্প্রতি কোয়াডের ভারচুয়াল বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন-সহ অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের রাষ্ট্রপ্রধানরা। চিনকে (China) কূটনৈতিক বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি কূটনৈতিক মহলের দাবি, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও কীভাবে বাড়ানো সম্ভব, তা নিয়েও চার রাষ্ট্রনেতার মধ্যে আলোচনা হয়।
ইতিমধ্যেই ঠিক হয়েছে, ২০২২ সালে মধ্যে করোনার নতুন প্রতিষেধক তৈরি করবে ভারত। মার্কিন ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় এই প্রতিষেধক তৈরি হবে। কোয়াডের নেতাদের দাবি, আগামী এক বছরের মধ্যে বিশ্ব থেকে করোনার দাপটকে থামানোই তাঁদের লক্ষ্য। কারণ, এই অঞ্চলে আগামী এক বছরের মধ্যে দ্রুত বাণিজ্য সম্পর্ক শুরু করতে চায় এই চার দেশ।
কূটনৈতিক মহলের দাবি, নিজেদের সমন্বয় বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েই চিনকে স্পষ্ট বার্তা দিতে চেয়েছেন কোয়াডের নেতারা। উপমহাদেশে শান্তি স্থাপনে বেজিংকে আরও গঠনমূলক পদক্ষেপ করতেই অনুরোধ করেছে দিল্লি ও ওয়াশিংটন। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় শান্তি ফেরাতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা জরুরি বলেই মনে করেন নরেন্দ্র মোদি থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাঁদের মত, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় বাণিজ্য বিস্তার বেজিংকে ছাড়া অসম্ভব।কিন্তু সেইমতো নিজেদের হাতে রাশ রেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ করতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.