Advertisement
Advertisement
Operation Sindoor

জল-স্থল-আকাশে হামলা, কীভাবে অপারেশন সিঁদুরে নাস্তানাবুদ পাকিস্তান, দেখাল ভারতীয় সেনা

ভারতীয় সেনার জবাবি হামলায় ৩৫-৪০ পাক সেনার মৃত্যু হয়েছে।

Indian Army detailed how Operation Sindoor troubled Pakistan
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:May 11, 2025 7:18 pm
  • Updated:May 11, 2025 9:05 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জঙ্গি দমনে ভারতীয় সেনার ‘শিব তাণ্ডব’। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের শাস্তি দিতে এবং জঙ্গিবাদ দমনে ভারতের অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)। সাধারণ পাকিস্তানিদের কথা মাথায় রেখে সতর্কতার সঙ্গে টার্গেট চিহ্নিত করে অপারেশন চালানো হয়েছে। নিহত হয়েছে ১০০ জনের বেশি জঙ্গির, ৩৫-৪০ পাক সেনার মৃত্যু হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে ছবি ও ভিডিওর প্রেজেন্টেশনে শত্রু দমনে কীভাবে সাফল্য এসেছে তা দেখাল এবং ব্যাখ্যা করল ভারতীয় সেনা।

এদিন শিব তাণ্ডবের স্ত্রোত্র দিয়ে শুরু হয় সেনাকর্তাদের সাংবাদিক বৈঠক। সেখানে মনে করানো হয়, কীভাবে পহেলগাঁওয়ে ২৬ জন নিরস্ত্র ভারতীয়কে হত্যা করা হয়েছিল। অপারেশন সিঁদুর পরিকল্পনার মূল লক্ষ্যই ছিল সন্ত্রাসবাদী এবং সন্ত্রাসের পরিকল্পনাকারীদের শাস্তি দেওয়া। জঙ্গিঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করা। ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানান, পাকিস্তান ও পিওকের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। ১০০-র বেশি জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে আইসি ৮১৪ অপহরণ এবং পুলওয়ামা হামলায় জড়িত জঙ্গিও রয়েছে।

৭ মে কীভাবে ভারতের বিমান বাহিনী হামলা চালিয়েছিল তা জানান এয়ার মার্শাল একে ভারতী। তিনি বহাওয়ালপুরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংসের দৃশ্য তুলে ধরেন সাংবাদিক সম্মেলনে। এর পাশাপাশি মুরিদকের জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা পরবর্তী দৃশ্যও প্রকাশ করা হয়। জানানো হয়, মূলত জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরগুলিকেই টার্গেট করেছিল ভারত। যেমন, মুরিদকের জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরে বোমা ফেলা হয়েছিল। এখানেই লস্করের প্রশিক্ষণ শিবির ছিল।

ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানান, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করে বেশ কিছু জনবহুল গ্রাম এবং গুরুদ্বারের মতো ধর্মীয় স্থানে আঘাত হানার চেষ্টা করে। ৯-১০ মে রাতে ভারতীয় আকাশসীমায় ড্রোন এবং বিমান প্রবেশ করিয়েছিল পাকিস্তান। সামরিক ঘাঁটিতে হামলার চেষ্টা ছিল কিন্তু বেশির ভাগই প্রতিহত করা হয়। কিছু আছড়ে পড়লেও বড় ক্ষতি হয়নি। উলটে ভারতের পালটা হামলায় পাকিস্তানি সেনার ৩৫-৪০ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে সংঘাতের আবহে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সাংবাদিক বৈঠকে এয়ার মার্শাল ভারতী জানান, চাকলালা, রফিকি-সহ পাকিস্তানের বেশ কিছু সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারতীয় বাহিনী। এই ঘাঁটিগুলিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল ভারতের। কিন্তু নিয়ন্ত্রিত জবাব দেওয়া হয়েছে। আসলে ভারতীয় সেনার তরফে বার্তা দেওয়ার ছিল, পাকিস্তানের আগ্রাসী মনোভাবকে কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। এরপর শনিবার বিকেল দুপুর ৩টে ৩৫ নাগাদ পাকিস্তানের ডিজিএমও-র সঙ্গে শান্তিপ্রক্রিয়া নিয়ে কথা হয়। পাকিস্তানই যে সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল, সেকথাও স্পষ্ট করেন ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement