সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Coronavirus) প্রথম ঢেউয়ে যতটা ধাক্কা লেগেছিল দ্বিতীয় ঢেউয়ের ফলে ততটা ক্ষতির মুখে পড়েনি দেশের অর্থনীতি (Economy)। বৃহস্পতিবার তাদের বার্ষিক রিপোর্টে এমনটাই জানাল রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। তবে সেই সঙ্গে স্বল্পমেয়াদে একটা অনিশ্চয়তার বাতাবরণ তৈরি হতে পারে এমন সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছে আরবিআই।
আরবিআই আরও জানাচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউকে কত দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে সেটার উপরে অনেক কিছুই নির্ভর করছে। যত দ্রুত এই পরিস্থিতি শুধরানো যাবে ততই দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রগতি সম্ভব হবে। গত বছর করোনা সংক্রমণ ও তার ফলে দেশব্যাপী লকডাউন যে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছে অর্থনীতিতে, বার্ষিক রিপোর্টে সেকথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি দেশজুড়ে এখনও চলতে থাকা অতিমারী যে অর্থনীতির অগ্রগতির পথে খুব বড় একটা বাধা, সেকথাও বলা হয়েছে রিপোর্টে।
এই পরিস্থিতিতে জিডিপির উন্নতির জন্য প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথাও জানিয়েছে আরবিআই। এই পরিস্থিতিতে তাই পুঁজি বিনিয়োগও খুব দরকার। এর ফলেই পরোক্ষে উপকৃত হবে বাজার। যা প্রভাব ফেলবে অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে। ফলে চাঙ্গা হবে দেশের অর্থনীতি।
তবে এমন একটা সময়েও যে টানা সাত মাস জিএসটি বাবদ কেন্দ্রের মাসিক আয় ১ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে তারও উল্লেখ রয়েছে ওই রিপোর্টে। প্রসঙ্গত, এপ্রিল মাসে জিএসটি বাবদ সরকারের কোষাগারে ঢুকেছে ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৩৮৪ কোটি টাকা। গত মার্চে জিএসটি বাবদ আয় ছিল ১ লক্ষ ২৩ হাজার কোটি টাকা। সেখান থেকে একলাফে অনেকটাই বেড়েছে আয়। শতাংশের হিসেবে ১৪ শতাংশ। যা অনেকটাই বলে মনে করা হচ্ছে।
গত বছর প্রায় দু’মাস দেশজুড়ে লকডাউন ছিল। পরে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। এবার কেন্দ্রে তরফে কোনও লকডাউন ডাকা হয়নি। যদিও নিজেদের মতো করে লকডাউন কিংবা নিষেধাজ্ঞা জারির পথে হেঁটেছে বহু রাজ্য। তবুও সামগ্রিক ভাবে তা দেশের অর্থনীতিতে তেমন প্রভাব ফেলেনি এখনও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.