ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কবে আসবে ‘করোনা’র প্রতিষেধক? সেদিকে তীর্থের কাকের মতো তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। এমন পরিস্থিতিতে মানব শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য দ্বিতীয় দেশীয় সংস্থা হিসেবে দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমতি পেল জাইডাস ক্যাডিলা (Zydus Cadilla)। প্রাথমিকভাবে, স্বেচ্ছাসেবকদের দেহে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহের গোড়াতেই বায়োটেক বায়োকনও তাঁদের তৈরি ভ্যাকসিনের (Vaccine) ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ছাড়পত্র পেয়েছে।
বিশ্বজুড়ে চলছে করোনা রোখার ভ্যাকসিন (Vaccine) তৈরির প্রতিযোগিতা। ইতিমধ্যে রাশিয়া ও আমেরিকা দাবি করেছে, ভ্যাকসিন তৈরির শেষ পর্যায়ে রয়েছে তাঁরা। চলছে ট্রায়াল। পিছিয়ে নেই ভারতও। আগস্টেই কো-ভ্যাকসিন বাজারে আসবে বলে দাবি করেছিল আইসিএমআর (ICMR)। যদিও তীব্র বিতর্কের মুখে সেই দাবি থেকে সরে দাঁড়ান তাঁরা। বদলে বলেন, “২০২১ সালের আগে কোনও ভ্যাক্সিন বাজারে আসবে না”। তবে পরীক্ষা থেমে নেই। এর মধ্যে আরও একটি করোনা রোখার ভ্যাকসিনের (Vaccine) মানবদেহে ট্রায়ালের অনুমতি দিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (DCGI)।
এখনও পর্যন্ত ডিসিজিআই করোনা নিয়ন্ত্রণের দুটি টিকার মানবদেহে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে প্রথমটি ইন্ডিয়ান মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের সহযোগিতায় ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের তৈরি এবং অন্যটি জাইডাস ক্যাডিলা হেলথ কেয়ার লিমিটেডের তৈরি টিকা। প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে যাওয়ার জন্য দুটি ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অনুমতি মিলেছে।
জানা গিয়েছে, দুই ভারতীয় ভ্যাকসিনেই ইঁদুর এবং খরগোশের ক্ষেত্রে সফল পরীক্ষা হয়েছে। এই তথ্যগুলি ডিসিজিআই-তে জমাও দেওয়া হয়েছে। তারপরে জুলাইয়ের শুরুতে প্রাথমিক পর্যায়ে মানবিক পরীক্ষা শুরু করার বিষয়ে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। চলতি মাসেই দুই ভারতীয় ভ্যাক্সিনের প্রাথমিক পর্যায়ে মানবিক পরীক্ষা শুরু করা হচ্ছে। আইসিএমআর জানিয়েছে, বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১,০০০ মানব স্বেচ্ছাসেবীর উপর ক্লিনিকাল স্টাডি শুরু হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.