সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের জেরে অভাব অ্যাম্বুল্যান্সের। তাই মধ্যপ্রদেশের জেলাশাসক বেসরকারি সংস্থা ওলা ক্যাবকে অ্যাম্বুল্যান্স হিসেবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিলেন। এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে রোগী পৌঁছে দিতে বা জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনে হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে আসতে যাতে সমস্যা না হয় তাই এই সিদ্ধান্ত।
দেশজোড়া লকডাউনে অ্যাম্বুল্যান্সের অভাবে এর আগে সমস্যায় পড়েছেন বহু মানুষ। অনেক সময় করোনা সংক্রমণ জেনে হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠাতে অস্বীকার করতে দেখা গেছে। ফলে চিকিৎসার অভাবে ও হাসপাতালের গাফিলতিতে অকালে প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। যে করোনার সংক্রমণের ভয় মানুষের মানবিকতাকে কেড়ে নিয়েছে তার সঙ্গে মোকাবিলা করতেই নয়া পন্থা অবলম্বন করলেন মধ্যপ্রদেশে ইন্দোরের জেলাশাসক। অ্যাম্বুল্যান্সের অভাব মেটাতে তিনি ৫০টি ওলা ট্যাক্সিকে অ্যাম্বুল্যান্স হিসেবে ব্যাবহার করার সিদ্ধান্ত নিলেন। ইন্দোরের উচ্চপদস্থ আধিকারিক চন্দ্রমৌলি শুক্লা জানান, “প্রধানত এই ট্যাক্সিগুলি রোগীদের সবুজ হাসপাতাল (Green Hospital) থেকে হলুদ হাসপাতালগুলিতে (Yellow Hospital) নিয়ে যাবে। সবুজ হাসপাতালে রোগীদের স্ক্রিনিং হয়ে গেলে তাঁদের হলুদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।”
এবার প্রশ্ন জাগতেই পারে এই হলুদ হাসপাতাল বা সবুজ হাসপাতাল কী? কেরলের মত করোনা সংক্রমণের প্রভাব দেখে মধ্যপ্রদেশকে চারটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। গ্রিন জোনে থাকা হাসপাতালগুলি সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। সেখানে করোনা সংক্রমণের প্রভাব নেই। আর হলুদ হাসপাতালগুলিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবুজের থেকে বেশি কিন্তু মারাত্মক নয়। অনেক সময় অ্যাম্বুল্যান্সের অভাবে সামান্য করোনার উপসর্গ দেখা দিলেও চিকিৎসা পাননি অনেকে। তাই সংক্রমণের ভয়ের ছুৎমার্গ সরিয়ে করোনার সঙ্গে লড়াই করতে ওলা অ্যাম্বুল্যান্সকে ব্যবহার করা হবে। ফলে সামান্য জ্বর, সর্দি, কাশি হলেও যেন প্রতিটি মানুষ চিকিৎসা পান ও বিনা চিকিৎসায় যাতে কেউ প্রাণ না হারান তার চেষ্টাই করা হবে।
শুক্রবারই মধ্যপ্রদেশে নতুন করে ৫০টি করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। ইন্দোরে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯২। মধ্যপ্রদেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। তাঁর মধ্যে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৬৯জন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.