সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মসুলে ৩৯ জন ভারতীয়র মৃত্যু নিয়ে আরও বিপাকে পড়ল বিদেশমন্ত্রক। সুষমা স্বরাজের দাবি ছিল, চার বছর আগেই ওই ভারতীয়দের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু নিশ্চিত করতেই এতটা সময় পেরিয়ে গিয়েছে। তাই নিহতদের পরিবারের সদস্যদের নির্দিষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। কিন্তু ইরাকের এক আধিকারিকের দাবি, চার নয়, বছরখানেক আগে বেশিরভাগ ভারতীয়কে গুলি করে মারা হয়েছে।
[ নিজের নাম RV155677820 রাখতে চাইছেন এই ব্যক্তি, কেন জানেন? ]
মঙ্গলবার সংসদে ৩৯ জন ভারতীয়র মৃত্যুর খবর পেশ করেন সুষমা। কেন এতদিন জানানো হয়নি, কেন পরিবারের সদস্যদের স্তোক দেওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে সরব হয় বিরোধীরা। এমনকী পরিবারের সদস্যরাও ক্ষোভ গোপন রাখেননি। সরকার তাঁদের সঙ্গে চার বছর ধরে মিথ্যাচার করেছে বলেই দাবি তাঁর। এই প্রেক্ষিতে বিদেশমন্ত্রকের দাবি ছিল, সমস্তরকম যোগযোগ করা হয়েছে। কিন্তু হারিয়ে গেলেই কাউকে মৃত বলে ঘোষণা করা যায় না, নিশ্চিত হতে হয়। সে জন্য বারবার ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছে। তারপরই ঘোষণা করে মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। মৃত্যু নিয়ে বিরোধীদের রাজনীতিকেও একহাত নিয়েছিলেন সুষমা।
[ ভারতে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার গ্রাহক কারা? তরজায় বিজেপি-কংগ্রেস ]
এদিকে ইরাকের এক আধিকারিক বলছেন, বছরখানেক আগেই বেশিরভাগ ভারতীয়কে গুলি করে মারা হয়েছে। ইরাকের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ এই ডিএনএ টেস্ট করেছিল। সেই বিভাগেরই প্রধান ডঃ জাইদ আলি আব্বাস জানান, দেহাবশেষ যখন আসে তখন খুলি আর হাড় ছিল। শরীরে কোনও মাংস ছিল না। তা থেকেই বোঝা যায়, খুব বেশি হলে বছরখানেক আগেই ওঁদের হত্যা করা হয়েছে।
[ আরও এক নীরব মোদি, ১৪টি ব্যাংক থেকে ৮২৪ কোটি ঋণ নিয়ে পলাতক কনিষ্ক কর্তা ]
কিন্তু তাহলে কেন তাঁদের উদ্ধারের জন্য ঝাঁপাল না সরকার? বিদেশমন্ত্রী সংসদে আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, ছ’মাস বা দুই বছর সেটা বড় কথা নয়। কিন্তু উদ্ধারকাজ চালানোই যায়নি মসুলের রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য। জুলাইয়ে মসুল মুক্ত হয়। তারপরই উদ্ধারকাজ শুরু হয়। এবং ঠিক সে সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি কে সিংয়ের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল মসুলে গিয়েছিল। তবে ইরাকের আধিকারিকের মন্তব্যের পর ধন্ধ আরও বেড়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.