ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। নতুন বছরের শুরুতে করোনা আবহেই (Corona Pandemic) সব ভক্তদের জন্য খুলল পুরীর (Puri) জগন্নাথ দেবের মন্দির (Jagannath temple)। রবিবার থেকে একাধিক কোভিড বিধি মেনে তবেই দর্শকরা মন্দিরের ভিতরে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন। এদিকে, কোভিড নেগেটিভ হওয়ার রিপোর্ট সঙ্গে না থাকায় নিয়ম মেনে মন্দিরে প্রবেশ করলেন না খোদ ওড়িশার রাজ্যপাল গনেশি লালও। মন্দিরের বাইরে থেকেই জগন্নাথদেবের আশীর্বাদ নিয়ে ফিরে আসেন তিনি।
করোনা আবহে গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে খোলা হয়েছিল মন্দিরের দরজা। মন্দির খোলার পর প্রথম তিনদিন শুধুমাত্র মন্দিরের সেবায়েত ও তাঁদের পরিবার মন্দিরে ঢোকার অনুমতি পান। এরপর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কেবল পুরীর বাসিন্দাদেরই মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। কবে কোন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা মন্দিরে ঢুকতে পারবেন, সেকথাও জানিয়ে দেয় মন্দির কর্তৃপক্ষ। এরপর বছরের প্রথম দু’দিন বন্ধ থাকার পর ৩ তারিখ সমস্ত পর্যটকদের জন্য খোলা হল মন্দিরের দরজা। তবে মানতে হবে কোভিড বিধি। মাস্ক, স্যানিটাইজার ও সামাজিক দূরত্ববিধি মেনেই মন্দিরে প্রবেশ করতে হবে। শুধু তাই নয়, পরিচয়পত্র থেকে শুরু করে সঙ্গে রাখতে হবে কোভিড নেগেটিভ হওয়ার প্রমাণপত্রও। আর এই নিয়মের কথাই জানতেন না রাজ্যপাল। এদিন সপরিবারে মন্দির দর্শনে গিয়ে সেকথা জানতে পেরেই নিজেই অবশ্য মন্দিরের ভিতরে যাবেন না বলে জানিয়ে দেন। পরবর্তীতে বাইরে থেকে দর্শন করেই ফিরে আসেন তিনি। যদিও মন্দির কর্তৃপক্ষ তাঁকে কোনওরকম বাধা অবশ্য দেয়নি।
জানা গিয়েছে, রবিবার প্রায় ১৭ হাজার দর্শনার্থী প্রবেশ করেন পুরীর মন্দিরে। প্রত্যেককেই জমা দিতে হয় কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট। এছাড়া অন্যান্য কোভিড বিধিও মানতে হয়েছে দর্শনার্থীদের। করোনা (Coronavirus) আবহে গত মার্চ মাস থেকে দেশের অন্যান্য ধর্মীয় স্থানের মতো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরও। আনলক পর্বে ধীরে ধীরে দেশের অন্যান্য মন্দির খুললেও এই মন্দিরটা বন্ধই ছিল। করোনা কালে হাজারও আইনি টানাপোড়েনের পর বাতিল হয়েছে রথযাত্রাও (Rathyatra)। সংক্রমণের আশঙ্কায় জমায়েত একেবারে নিষিদ্ধ করে শুধুমাত্র প্রথাটুকুই পালিত হয়েছে। তবে এবার নিয়ম মেনে সকলের জন্য মন্দিরের দ্বার উন্মোচন করে দিল কর্তৃপক্ষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.