সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে ঘরে ফিরলেন পাঁচ ভারতীয় নাবিক। ১৪ মাস তাঁরা গ্রিসের জেলে আটক ছিলেন। বিস্ফোরক পদার্থ বোঝাই মালবাহী জাহাজ নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি গ্রিসের উপকূলরক্ষী বাহিনী তাঁদের আটক করে।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানে দুই হিন্দু বোনকে ধর্মান্তর করে বিয়ে, রিপোর্ট তলব সুষমার]
তদন্তে জানা যায়, এমভি অ্যান্ড্রোমেডা নামের এই মালবাহী জাহাজটি ২০১৮ সালের ৬ জানুয়ারি তুরস্ক থেকে আফ্রিকার বন্দর জিবুতির উদ্দেশে রওনা দেয়। জাহাজটিতে বাজি তৈরির কাঁচামাল বোঝাই ছিল। পথে জাহাজটি বিকল হলে মেরামতির জন্য গ্রিস উপকূলে নোঙর করা হয়। তারপরেই উপকূলরক্ষী বাহিনী জাহাজটির সঙ্গে কর্মীদেরও আটক করে। তারপর আইনি প্রক্রিয়ায় কেটে গিয়েছে ১৪ মাস। অবশেষে নির্দোষ প্রমাণ হন তাঁরা। রবিবার সকালে মুম্বইয়ে ফিরে জাহাজের এক কর্মী ভূপেন্দ্র চসিং জানান, সব রকম আইন মেনেই ওই বিস্ফোরক পদার্থ তাঁরা নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু গ্রিসের প্রশাসন কোনও রকম প্রমাণের তোয়াক্কা না করে তাঁদের এতদিন আটক করে রেখেছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ভারতীয় বানিজ্যিক জাহাজকর্মীদের সংগঠন ‘ম্যারিটাইম ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া’-র সাধারণ সম্পাদক অমর সিং ঠাকুর জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার হওয়া নাবিকদের পক্ষেই রায় দিয়েছে গ্রিসের আদালত। জাহাজে থাকা পদার্থ বাজি বানানোর কাঁচামাল বলেই জানিয়েছেন বিচারপতিরা। ফলে ধৃত নাবিকদের বেকসুর খালাস দেন তাঁরা।
গ্রিস প্রশাসনের সাহায্য না মিললেও ভারতীয় দূতাবাস সবসময় তাঁদের পাশে থেকে পরামর্শ দিয়েছে বলেও জানান পাঞ্জাবের গুরদাসপুরের এই বাসিন্দা। যদিও তাঁদের উপর কোনও রকম শারীরিক নিগ্রহ করা হয়নি বলেও তিনি জানান। তাঁর কথায় বন্দিদশায় তীব্র মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে তাঁদের কাটাতে হয়েছিল। একমাত্র বোনের বিয়েতে থাকতে না পারার কষ্টের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘একটা সময় মনে হত জীবন বোধহয় এই গারদের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।” সেই পরিস্থিতি থেকে মুক্তির জন্য ভারতীয় দূতাবাসকে ধন্যবাদ দিতে ভোলেননি সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত এই জাহাজকর্মী।
[আরও পড়ুন: মাদক-পানীয় খাইয়ে বিমান সেবিকাকে লাগাতার ধর্ষণ, অভিযুক্ত দুই পাইলট]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.