সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তিন তালাক প্রথা উঠে যাওয়ায় খুশির হওয়া দেশ জুড়ে। তবে মহিলাদের শৃঙ্খলমুক্ত করতে এখনও নারাজ বেশ কিছু মুসলিম সংগঠন। সাংবিধানিক অধিকারকে শিকেয় তুলে এবার খোদ শীর্ষ আদালতের রায়ের তীব্র বিরোধিতা করল ইসলামিক সংগঠন ‘জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ’।
[তিন তালাকের পথে হাঁটেননি এই মুসলিম সেলেবরাও]
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তীব্র আপত্তি জানিয়ে সংগঠনটির দাবি, প্রায় দেড় হাজার বছর থেকে ইসলামে বিশেষ করে সুন্নি মুসলমানদের মধ্যে তিন তালাক প্রথার চল রয়েছে। শীর্ষ আদালতের রায় শরিয়ত আইনের পরিপন্থী। শুধু মাত্র তাই নয়, প্রকাশ্যে আদালতের রায়কে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন সংগঠনটির প্রধান মৌলানা মাহমুদ মাদানি। সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কিছু বদলাবে না। ইসলামিক নীতি অনুযায়ী তিন তালাক প্রথা সম্পূর্ণ বৈধ। দিল্লির এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, তিন তালাকের মাধ্যমে এখনও বিবাহবিচ্ছেদ করা যাবে।
তাঁর এই মন্তব্যে বয়েছে বিতর্কের ঝড়। অনেকেই অভিযোগ জানিয়েছেন, আদালতের অবমাননা করেছেন মাদানি। ধর্মের দোহাই দিয়ে মহিলাদের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। উল্লেখ্য, তিন তালাকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে অনেক মুসলিম সংগঠনই। শুরুতে তীব্র প্রতিবাদের পথে হাঁটলেও শেষেরদিকে সুর নরম করেছিল মুসলিম পারসোনাল ল’ বোর্ড। ধার্মিক বিশ্বাসে আঘাত হানছে কেন্দ্র, এমনটা জিগির তুলেছিল একাধিক বিরোধী দল। তবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বিপাকে পড়ে উলটো সুর ধরতে হয়েছে তাদের।
[‘তিন তালাক’ মন্তব্যের জের, সোশ্যাল মিডিয়ায় হেনস্তার শিকার কাইফ]
গত মঙ্গলবার তিন তালাককে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এই ঐতিহাসিক রায় দেয়। আগামী ৬ মাসের জন্য তিন তালাকের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। ৬ মাসের মধ্যে তিন তালাক দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই সময়সীমার মধ্যেই কেন্দ্রকে আইন আনতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.