সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৮ সাল থেকেই মন্দার মারে জর্জরিত বিমান সংস্থাগুলি। চলতি বছরের শুরুতে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে করোনা মহামারী। এহেন পরিস্থিতিতে বিমান জ্বালানির দাম জুন মাসে এক ধাক্কায় ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছে তেল বিপণনকারী সংস্থাগুলি। লকডাউনের জেরে প্রায় দু’মাস বন্ধ থাকার পর যাত্রী পরিষেবা শুরু করেছে বিমান সংস্থাগুলি। কিন্তু জ্বালানির দাম বাড়ায় রীতিমতো বেকায়দায় পড়েছে তারা।
ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে বিমান জ্বালানির দাম একটানা কমার পর চলতি মাসেই তা প্রথম বাড়ল। একটি বিমান চালাতে যে পরিমাণের অর্থের প্রযোজন হয় তার ৪০ শতাংশই যায় জ্বালানির দাম মেটাতে। জুন মাসে ‘এভিয়েশন ফুয়েলে’ বা বিমানে যে জ্বালানি ব্যবহার করা হয় সেটির দাম এক ধাক্কায় ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছে তেল বিপণনকারী সংস্থাগুলি। নয়া তালিকা মতে, গত মাসের তুলনায় ১১ হাজার টাকা বেড়ে এক কিলোলিটার জ্বালানির দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৫৭৫ টাকা। প্রায় দু’মাস বন্ধ থাকার পর পরিষেবা শুরু করতেই জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ার অশনি সংকেত দেখছে বিমান সংস্থাগুলি।
রবিবার কেন্দ্রীয় বিমান পরিবহণ মন্ত্র হরদীপ সিং পুরী টুইট করে জানান, রবিবার দেশের মধ্যেই ৫০১টি বিমানে ৪৪ হাজার ৫৯৩ জন মানুষ সফর করেছেন। অর্থাৎ গড়ে প্রতি বিমানে ১০০ জনেরও কম যাত্রী ছিল। কিন্তু বিমানগুলির আসন সংখ্যা ১৮০। প্রচুর সিট খালি থাকার দরুন আয়ে প্রভাব পড়েছে। বিমান সংস্থার এক আধিকারিকের মতে, দেশে বিভিন্ন প্রান্তে আটকে থাক বহু মানুষ এখন বিমানে ঘরে ফিরছেন। এই পর্ব কেটে গেলে নিকট ভবিষ্যতে ভ্রমণ ও আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া মানুষের সংখ্যা নগণ্য থাকবে। এছাড়া, যাত্রীভাড়ার ক্ষেত্রেও উর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়েছে সরকার। এক বিশেষজ্ঞ বলেন, “ভাড়ার ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ার পর DGCA-র নয়া নির্দেশিকায় মাঝের আসনের জন্য বিমান সংস্থাগুলি টিকিট বিক্রি করলে যাত্রী সুরক্ষার জন্য যে সমস্ত জিনিস বাধ্যতামূলক ভাবে দিতেই হবে, তাতে তো অনেক টাকা তাদের অতিরিক্ত চলে যাবে। ফলে, যে সমস্ত রুটে ভাড়ার ঊর্ধ্বসীমা ৬ হাজার টাকা সেখানে মাঝের আসনের টিকিট বিক্রি করে সংস্থাগুলির কোনও লাভ হবে না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.