সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “ভারত ধর্মশালা নয়। যে কেউ এখানে এসে এখানকার সম্পদে ভাগ বসাবে, সেটা হতে দেব না।” ভোটমুখী ঝাড়খণ্ডে দাঁড়িয়ে অনুপ্রবেশকারীদের কড়া হুঁশিয়ারি কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের। তাঁর অভিযোগ, ঝাড়খণ্ডের বর্তমান সরকার ভোটব্যাঙ্কের জন্য অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিচ্ছে। রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলেই এইসব অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হবে বলে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন শিবরাজ।
বেআইনি অনুপ্রবেশকারীরা বাংলা-বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের জনবিন্যাসই বদলে দিয়েছে। অবিলম্বে এই তিন রাজ্যে NRC করা উচিত। এক বছর আগেই এই দাবি তুলেছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। ঘটনাচক্রে তিন রাজ্যের মধ্যে দুই রাজ্যে অবিজেপি সরকার চলছে। বাংলায় তৃণমূল এবং ঝাড়খণ্ডে সরকার চালাচ্ছে জেএমএম-কংগ্রেস জোট। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও এনআরসি বিরোধী। ঝাড়খণ্ডে সামনে নির্বাচনে। তাই এনআরসিকেই হাতিয়ার করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির অভিযোগ, ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা, পাকুর, দেওঘর, জামতাড়া, সাহেবগঞ্জের মতো জেলায় অনুপ্রবেশ বাড়ছে। যার ফলে বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস।
ঝাড়খণ্ডে বিজেপির নির্বাচনী পর্যবেক্ষক শিবরাজ সিং চৌহান এদিন সেই অভিযোগই তুললেন। তাঁর দাবি, আদিবাসী অধ্যুষিত রাজ্যটিতে উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ। এর জেরেই সাঁওতাল পরগনায় আদিবাসীদের সংখ্যা ৪৪ শতাংশ থেকে কমে ২৮ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা, “ভারত কোনও ধর্মশালা নয়। এই দেশ, এই মাটি, আমাদের নদী, পাহাড়, বনাঞ্চলে শুধু আমাদের অধিকার। যে কেউ এসে সেটা দখল করে নেবে তা হতে দেব না।”
অনুপ্রবেশ সমস্যার জন্য ঝাড়খণ্ডের বর্তমান জেএমএম সরকারকে দায়ী করে শিবরাজ বলেন, “হেমন্ত সোরেন ও তাঁর দল ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চা ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করার জন্য অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিয়েছে। অনুপ্রবেশকারীরা এখানে এসে সহজে আধার কার্ড পেয়ে যাচ্ছে। অল্পবয়সী মেয়েদের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের বিয়ে করছে, তাদের নামে জমি কিনছে। এই ঘটনা দেশের জন্য ভয়ংকর।” চৌহান এদিন আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এই অনুপ্রবেশকারীদের বাড়বাড়ন্ত রুখতে সে রাজ্যে এনআরসি কার্যকর করবে বিজেপি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.