সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারের রাজনীতিকে হাতের তালুর মতো চেনেন তিনি। জেলবন্দী, তাতে কী? লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav) জেলের ভিতর থেকেই কলকাঠি নাড়ার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ। লালুর কীর্তির সেই অডিও ক্লিপ সামনে আসতেই তড়িঘড়ি তদন্তের নির্দেশ দিল ঝড়খণ্ড (Jharkhand) জেল কর্তৃপক্ষ।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে ঝাড়খণ্ডের আইজি (জেল) বীরেন্দ্র ভূষণ জানিয়েছেন, বীরসা মুন্ডা জেলের সুপার, রাঁচির ডেপুটি কমিশনার ও এসপিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, জেলবন্দী আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিহারের স্পিকার নির্বাচনের আগে এনডিএর এক বিধায়ককে ফোন করে দলে টানার চেষ্টা করেছিলেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে আইজি (জেল) বীরেন্দ্র ভূষণ জানিয়েছেন, জেলে মোবাইল আনা নিষিদ্ধ। ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে একজন বন্দীর কাছে কীভাবে মোবাইল পৌঁছল, তা খতিয়ে দেখা হবে। এই বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। বন্দীবস্থায় রাজনৈতিক আলোচনা করাও নিষিদ্ধ। তারপরেও কীভাবে এই কান্ড ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হবে। উল্লেখ্য, অসুস্থতার কারণে লালুপ্রসাদ যাদব আপাতত আরআইএমের বাংলোয় রয়েছেন। তাকে জেলে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধেয় এক টুইটে সুশীল অভিযোগ করেন, লালু রাঁচি থেকে ফোন করে এনডিএ বিধায়কদের মন্ত্রিত্বের লোভ দেখিয়ে তাঁদের পক্ষে আসার প্রস্তাব দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে তিনি লালু ব্যবহৃত ফোন নম্বরটিও শেয়ার করেছেন। এমনকী, তিনি নিজেও ওই নম্বরে ফোন করে বিষয়টি যাচাই করে দেখেছেন বলেও দাবি সুশীলের। তাঁর কথায়, ‘‘আমি ফোন করলে লালুই তা তুলেছিলেন। আমি ওঁকে জানিয়েছি, জেলে বসে এমন সস্তা খেলা খেলো না। তুমি সফল হতে পারবে না।’’ প্রসঙ্গত, লালু ও সুশীল দু’জনেই বিগত শতাব্দীর সাতের দশক থেকে একে অপরকে চেনেন। দু’জনেই সেই সময়ে ছাত্রনেতা ছিলেন।
উল্লেখ্য, বিহারে রাজ্য বিধানসভার স্পিকার নির্বাচনে জিতলেন বিজেপি বিধায়ক বিজয় কুমার সিনহা। মহাগঠবন্ধনের প্রার্থী আরজেডি-র অওধ বিহারি চৌধুরিকে হারিয়েছেন তিনি। এই প্রথম রাজে্যর কোনও বিজেপি নেতা এই পদে বসলেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.