সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক রাতে ১৩টি মোষ চুরি হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। ঝাড়খণ্ডে ফের গণপিটুনিতে প্রাণ গেল দু’জন মুসলিম যুবকের। গ্রামবাসীদের দাবি, ওই দুই যুবকই মোষগুলি চুরি করেছিলেন। তাঁদের কাছে পশুগুলিকে দেখেওছিলেন তাঁরা। ঘটনায় চারজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[বন্যার কবলে উত্তর-পূর্বের ৫ রাজ্য, ত্রিপুরা-মণিপুরে মৃত ৬]
গত বছর গো-মাংস পাচারের অভিযোগে গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনায় দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। বিজেপিশাসিত ঝাড়খণ্ডে আক্রান্ত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন মুসলিম মাংস ব্যবসায়ী। সম্প্রতি গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনায় ১১ জন অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। কিন্তু, পরিস্থিতি যে বদলায়নি, তারই প্রমাণ মিলল। ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা জেলায় মোষ চোর সন্দেহে দুই মুসলিম যুবককে পিটিয়ে মেরে ফেললেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গত মাসেও শিশু পাচারের অভিযোগে বিজেপিশাসিত এই রাজ্যে গণপিটুনির শিকার হয়েছিলেন চারজন মাংস ব্যবসায়ী। আক্রান্ত সকলেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা জেলার দুল্লু গ্রামে মোষ চুরির ঘটনা ঘটে। এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে চুরি হয়ে যায় ১৩ টি মোষ। বুধবার সকালে সিরাবুদ্দিন আনসারি ও মোর্তাজা আনসারি নামে দুই যুবকের উপর চড়াও হন গ্রামবাসীরা। সকলে মিলে ওই দুই যুবককে বেধড়ক মারধর করেন। গ্রামবাসীদের দাবি, ১৩টি মোষ চুরি করেছেন সিরাবুদ্দিন ও মোর্তাজা। এমনকী, বানকাট্টি এলাকায় তাঁদের বাড়িতে মোষগুলি দেখেওছেন তাঁরা। পুলিশ গিয়ে আক্রান্তদের উদ্ধার করে যখন হাসপাতালে নিয়ে যায়, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। সিরাবুদ্দিন ও মোর্তাজাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[‘সংস্কারি সন্তানের জন্ম দিন নাহলে বন্ধ্যাত্বকরণ করান’, মহিলাদের পরামর্শ বিজেপি বিধায়কের]
বস্তুত, শুধু ঝাড়খণ্ড বলেই নয়, ইদানিং দেশ জুড়েই সন্দেহে বশে গণপিটুনির ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। ঘটছে প্রাণহানিও। গত সপ্তাহেই অসমে ছেলে ধরা সন্দেহে দুটি যুবককে বেধড়ক মারধর করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গত একমাসে দক্ষিণ ভারতের তেলেঙ্গানা ও কর্নাটকেও গণপিটুনিতে প্রাণ গিয়েছে কমপক্ষে ৫ জনের।
[রেলে খাবারের মান কেমন? লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে যাচাইয়ের সুযোগ যাত্রীদের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.