সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনের ফল ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা পরও জোট নিয়ে ধোঁয়াশা জিইয়ে রাখলেন হরিয়ানার জননায়ক জনতা পার্টির (জেজেপি) সুপ্রিমো দুষ্মন্ত চৌটালা। শুক্রবার বিকেলে দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে চৌটালার ঘোষণা, কংগ্রেস বা বিজেপি, যে দল হরিয়ানার উন্নয়নের জন্য কাজ করতে চায় তাদেরই সমর্থন করবে তাঁর দল। কিন্তু কাদের সঙ্গে হাতি মিলিয়ে সরকার গড়বেন, সে বিষয়ে ধোঁয়াশা জিইয়ে রাখলেন তিনি। যে কোনও দলের সঙ্গে মিলে সরকার গড়তে রাজি তিনি, তবে অভিন্ন ন্যুনতম কর্মসূচি মেনে চলার প্রস্তাব রেখেছেন দুষ্মন্ত। এদিনই জেজেপি’র নবনির্বাচিত ১০ বিধায়ক তাঁকে পরিষদীয় দলনেতা হিসাবে বেছে নিয়েছেন। দলীয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।
নির্বাচনী প্রতীক চাবি। আর জেজেপিই এবারের নির্বাচনের ফলাফলে সরকার গড়ার চাবিকাঠি হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও, ভোটের ফলে ৪০টি আসন পেয়ে হরিয়ানায় বৃহত্তম দল হয়েছে বিজেপি। সরকার গড়ার জন্য তাদের আরও ৬ বিধায়কের সমর্থন চাই। এদিনই হরিয়ানা লোকহিত পার্টির বিতর্কিত নেতা গোপাল কান্ডা-সহ ৮ জন বিধায়ক বিজেপিকে সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছে। তাই সরকার গড়ার জন্য তোড়জোড়ও শুরু করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার। সম্ভবত আগামিকাল, শনিবারই সরকার গড়ার দাবি জানাবে বিজেপি। সেই জায়গায় ৩১টি আসন পাওয়া কংগ্রেস তাকিয়ে ছিল জেজেপির দিকে। কিন্তু শুক্রবারও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানালেন না দুষ্মন্ত। বরং নিজের বক্তব্যে দুই শিবিরের জন্যই সমঝোতার দরজা খোলা রাখলেন তিনি।
এদিন চৌটালা আরও বলেছেন, ‘আমাদের কারও সঙ্গে কথা হয়নি। হরিয়ানায় স্থায়ী সরকারের সঙ্গেই রয়েছে জেজেপি।’ যদিও সংখ্যাতত্ত্ব বলছে, জেজেপি কংগ্রেসকে সমর্থন করলেও সরকার গড়ার জন্য তা যথেষ্ট নয়। তাই সবমিলিয়ে নির্দল বিধায়কদের নিয়ে সরকার গড়ার জন্য বিজেপির পাল্লাই ভারী। এদিকে, চৌটালার প্রস্তাব মানতে রাজি বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন কংগ্রেসের ভুপিন্দর সিং হুডা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.