সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অশান্ত উপত্যকায় বড় সমস্যা পাথর নিক্ষেপকারীরা। একাধিক ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে ঢাল বানিয়েই পার পেয়ে যায় জঙ্গিরা। ভুল বুঝিয়ে তাঁদেরই বিক্ষোভের দিকে এগিয়ে দেওয়া হয়। এমন বিক্ষোভকারীদের বড় অস্ত্র পাথর। যা সেনার দিকে নিক্ষেপ করা হয়। বাধ্য হয়ে পালটা জবাব দিতে হয় সেনাকে। দুই পক্ষই একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপায়। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য থাকে, সেনার আক্রমণে আহত হয়েছেন তাঁরা। এদিকে সেনার বক্তব্য, আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কোন পক্ষের কথায় যুক্তি রয়েছে তা বোঝা দায়। কারণ ঘটনাস্থলে কী হয়েছে, আর কী হয়নি তা কেবলমাত্র প্রত্যক্ষদর্শীরাই বলতে পারেন। এমনই এক প্রত্যক্ষদর্শী এবার যাবতীয় ঘটনার রেকর্ড রাখতে চলেছে। তবে তা মানুষের মাধ্যমে নয়, যন্ত্রের মাধ্যমে। এবার জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের উর্দিতে বসতে চলেছে অত্যাধুনিক বডি ক্যামেরা। যার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা যাবে বলেই মনে করছেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল এস পি বেদ।
[‘দূষিত’ গঙ্গার পাড়েও বিধিসম্মত সতর্কীকরণের ভাবনা পরিবেশ আদালতের]
জুলাই মাসের ২০ তারিখ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বেদ জানান, এটি একটি বড় পদক্ষেপ হতে চলেছে। এর মাধ্যমে যেমন পুলিশকর্মীর কোথায় আছে তা জানা যাবে, তেমনই বিক্ষোভের সময় তাঁর মাধ্যমেই পরিস্থিতি সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যাবে। আবার এই বডি ক্যামেরাতে পাথর নিক্ষেপকারীদের ছবিও উঠে আসবে। অনেক সময়ই পাথর ছুঁড়ে চোখের আড়াল হয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা। ভিড়ের মধ্যে তাঁদের খোঁজা সহজ হয় না। এই রেকর্ড করা ফুটেজের সাহায্যে তাঁদের হদিশ মিলবে বলে মনে করা হচ্ছে। একাধিকবার সেনার বিরুদ্ধেও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এসেছে। এই ক্যামেরার মাধ্যমে তেমন পরিস্থিতিতেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত এক বছর ধরে উপত্যকায় এমন বডি ক্যামেরা ব্যবহার করছেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। তাতে ব্যাপক সাফল্য মিলেছে। সে কারণেই এবার পুলিশের উর্দিতে এই ক্যামেরা বসছে। কারণ উপত্যকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সবেচেয়ে বেশি দায়িত্ব তাঁদের কাঁধেই।
[কলেজ শেষে মাছ বিক্রি করে নেটিজেনদের সমালোচনার শিকার কেরলের যুবতী]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.