সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় আছে, শুভ কামমে দের নহি করতে। তাই নিজের ১৮ বছরের চেনা গড় থেকে ইস্তফা দিয়ে পদ্মে হাত রাখতে দেরি করতে চান না জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তবে আজ বিকেলেই কি তিনি যোগ দেবেন গেরুয়া শিবিরে? এমনই জোর জল্পনা মধ্যপ্রদেশের রাজনীতির বাতাসে।
সোমবার রাতে কংগ্রেসের থেকে ‘কাট্টি পতঙ্গ’ হয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। রাত গড়াতেই পরতে পরতে চলে নাটক। দেরি না করে মঙ্গলবার সকালেই অমিত শাহের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যান জ্যোতিরাদিত্য। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। সেই সাক্ষাতের পরই টুইট করে সভানেত্রীর কাছে ইস্তফাপত্র পাঠাতে দেরি করেননি তিনি। তবে বিজেপিতে যোগদানের পর্বের সঙ্গেই জ্যোতিরাদিত্য প্রসঙ্গ মিটছে না। জল্পনা চলছে মধ্যপ্রদেশ থেকেই কি বিজেপি তাঁকে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মনোনীত করবে? জ্যোতিরাদিত্য ইস্তফা দেওয়ার পরেই মধ্যপ্রদেশে তাঁর অনুগামী ২০ জন বিধায়ক রাজ্যপালের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন। রাজ্যপাল যদি ইস্তফা গ্রহণ করেন, তাহলে ১৫ মাসের কমল নাথ সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে।
এর আগে শোনা গিয়েছিল, জ্যোতিরাদিত্যের সঙ্গে ২৫ জন বিধায়ক ইস্তফা দেবেন। পরে শোনা যায়, ২০ জন ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন। চিঠিতে কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর উদ্দেশে তিনি লিখেছেন, “আমি এমন পথে যাত্রা করেছি, তা এক বছর আগে থেকেই তৈরি হচ্ছিল।” পরে তিনি লেখেন, “শুরু থেকে আমার উদ্দেশ্য একটাই। তা হল জনগণের সেবা করা। আমি এই দলে থেকে জনগণ ও দেশের সেবা করতে পারছিলাম না।”
জ্যোতিরাদিত্যর এই চিঠি পোস্ট করার কয়েক মিনিটের মধ্যে কংগ্রেস তাঁকে ‘বহিষ্কার’ করে। দলের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল বলেন, “দলবিরোধী কাজের অভিযোগে তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।” বিজেপি এদিনই মধ্যপ্রদেশের সব বিধায়ককে ভোপালে আসতে বলেছে। সেখানে সন্ধ্যা ছ’টা থেকে এক হোটেলে তাদের বৈঠক হবে। সম্ভবত তার পরেই বিজেপি মধ্যপ্রদেশে সরকার গড়ার দাবি জানাবে। মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে তুলে ধরা হবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.