সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন দেশজুড়ে যে যুদ্ধকালীন মক ড্রিলের আয়োজন করা হয়েছিল, তার খুঁটিনাটি সব তথ্যও পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছিলেন জ্যোতি মালহোত্রা! গোয়েন্দাদের একটি সূত্র মারফত এমনটাই জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, মক ড্রিলের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যে ব্ল্যাকআউট হয়েছিল সেই কথাও ফাঁস করেছিলেন ইউটিউবার।
সূত্রের খবর, অপারেশন সিঁদুরের পর জ্যোতির সঙ্গে আইএসআইয়ের যোগাযোগ খানিক বেড়ে যায়। বিভিন্ন পাক গুপ্তচরের সঙ্গে তিনি সাংকেতিক ভাষায় মেসেজের মাধ্যমে কথাবর্তা বলেন বলেও জানা গিয়েছে। এখানেই শেষ নয়। তদন্তকারীদের অনুমান এই গোটা চক্রে সক্রিয় ছিলেন দানিশও। তবে মার্চের পর দানিশের সঙ্গে জ্যোতির কথোপকথনের কোনও প্রামাণ এখনও পর্যন্ত মেলেনি। কিন্তু তদন্তে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে এসেছেষ সেখান থেকেই গোয়ান্দাদের বিশ্বাস অপারেশন সিঁদুরের খুঁটিনাটি তথ্য সম্পর্কে অবগত ছিলেন দানিশও। যার বেশিরভাগটি জানিয়েছিলেন জ্যোতিই। বলা বাহুল্য, যেভাবে একের পর এক নতুন তথ্য উঠে আসছে, তাতে ক্রমেই রহস্য বাড়ছে সুন্দরী’ ইউটিউবারকে নিয়ে।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন জ্যোতি। ২০২৩ সালে, ভারতে পাক দূতাবাস কর্মী এহসান উর রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গে জো-র (এই নামেই নিজেরকে পরিচয় দেন জ্যোতি) আলাপ। ক্রমে ঘনিষ্ঠতা। এই দানিশকে ইতিমধ্যেই পাক দূতাবাসে থেকে বের করে দিয়েছে নয়াদিল্লি। তাকে ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ অর্থাৎ অবাঞ্ছিত ব্যক্তি বলে বিতাড়িত করেছে ভারত সরকার।
দানিশ সম্পর্কে তদন্ত করতে গিয়েই প্রথমে জ্যোতির নাম পান তদন্তকারীরা। এই দানিশেরই ‘বিশেষ আমন্ত্রণে’ গত বছর পাক দূতাবাসে ইফতার পার্টিতে যায় জ্যোতি। এবং পুরো বিষয়টির ভিডিও করে সে। সেই ভিডিওটি দেখেই সন্দেহ হয় গোয়েন্দাদের। এছাড়াও সম্প্রতি সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হরিয়ানার জ্যোতি-সহ আরও ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁদের পাক যোগের একাধিক তথ্য তদন্তকারীদের হাতে এসেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.