Advertisement
Advertisement
Operation Sindoor

ইউক্রেনে আগুন ঝরানো ‘কামিকাজে’ই হামলা চালাল পাক জঙ্গিঘাঁটিতে, কী এই মারণাস্ত্র?

অস্ত্রবাহী ও আত্মঘাতী হওয়ায় রাশিয়াকে বাড়তি সুবিধা দিয়েছিল এটি।

Kamikaze drones used in Operation Sindoor
Published by: Paramita Paul
  • Posted:May 7, 2025 11:43 am
  • Updated:May 7, 2025 4:32 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘কামিকাজে ড্রোন’। ইউক্রেনে আগুন ঝরাতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিল এই ড্রোন। অস্ত্রবাহী ও আত্মঘাতী হওয়ায় রাশিয়াকে বাড়তি সুবিধা দিয়েছিল এটি। এবার পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকভূমের জেহাদি ঘাঁটিতে হামলা চালাতে ব্যবহার হল এই মারণাস্ত্র। 

কী এই কামিকাজে ড্রোন?

Advertisement

‘কামিকাজে’ শব্দটি জাপানি। এর অর্থ হচ্ছে ‘দৈবী হওয়া’। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি ফৌজের বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ শাখাকে বলা হতো ‘কামিকাজে স্পেশ্যাল অ্যাটাক ইউনিট’। এদের কাজ ছিল শত্রুপক্ষের যুদ্ধজাহাজে আত্মঘাতী হামলা চালানো। ‘কামিকাজে’ পাইলটরা বারুদ ঠাসা প্লেন নিয়ে মার্কিন রণতরীগুলির উপর আছড়ে পড়ার চেষ্টা করতেন। এভাবে নিজের প্রাণ বিসর্জন দিয়ে প্রতিপক্ষকে ধ্বংস করার প্রয়াস করতেন তাঁরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, বিশেষ করে প্রশান্ত মহাসাগরে আমেরিকা ও জাপানের নৌবাহিনীর লড়াইয়ের সময় কামিকাজে হামলা করতে দেখা যায় জাপানি পাইলটদের। এই কায়দাকে ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছিল চালকবিহীন এই ড্রোন। যারা ঠাসা বারুদ ও অস্ত্র নিয়ে একদম সঠিক নিশানায় শত্রুর উপরআঘাত হানতে সক্ষম। আর ড্রোনই ব্যবহৃত হল বাহওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদ, মুরাক্কায় লস্কর-ই-তৈবা ও হিজবুল মুজাহিদিনের সদর দপ্তরে হামলা চালাতে। 

তবে শুধু ‘কামিকাজে’ ড্রোন নয়। ‘এয়ার স্ট্রাইকে’ ব্যবহার হয়েছে স্ক্যাল্প, হ্যামারের মতো ক্ষেপণাস্ত্রও।  

SCALP- এর অর্থ স্টর্ম শ্যাডো। অর্থাৎ ঝড়ের গতিতে শত্রু নিধনে সক্ষম বলেই এই নাম বলে মনে করা হচ্ছে। দূরপাল্লার এয়ার টু গ্রাউন্ড এই ক্রুজ মিসাইলটি ফ্রান্স থেকে আমদানি করা হয়েছে। যা ৫০০ কিলোমিটারের বেশি দূরের টার্গেটেও নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। ভারতীয় বায়ুসেনা পূর্ব পরিকল্পিত মিশনে গোপনে শত্রুঘাঁটি নিকেশে ব্যবহার করে থাকে এই মিসাইল। 

HAMMER: স্মার্ট বোমা। ৫০-৭০ কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম HAMMER। কত উঁচু থেকে ছোড়া হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে আঘাতের তীব্রতা। যা জঙ্গিদের পরিকাঠামো গুঁড়িয়ে দিতে ব্য়বহার করা হয়েছে। লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদেরবাঙ্কার থেকে বহুতল বিল্ডিং, প্রশিক্ষণ শিবির, অস্ত্রভাণ্ডার গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এর আঘাতে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement