সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চোপড়ায় যুগলকে মারধরের ভাইরাল ভিডিও নিয়ে এবার উদ্বেগপ্রকাশ করলেন অভিনেত্রী তথা বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউত। সোমবার এনিয়ে সংসদের বাইরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রীতিমতো বিস্ফোরক সব মন্তব্য করলেন কঙ্গনা। এই ঘটনাকে শরিয়তি আইনের সঙ্গে তুলনা করে ‘মমতাদিদি’র প্রতি তাঁর প্রশ্ন, চাইলেই কি যে কোনও জায়গায় এই আইন প্রয়োগ করা যায়? সংবিধান রক্ষার দাবিতে সংবিধানের কপি হাতে সংসদে বিরোধীদের প্রতিবাদকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তারকা সাংসদ। আর কঙ্গনার এই মন্তব্য নিয়ে যথারীতি সমালোচনাও শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিকে, এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
ঠিক কী ঘটেছে চোপড়ায় (Chopra)? ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মাটিতে ফেলে এক যুবক ও যুবতীকে লাগাতার লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করছে ধৃত ‘জেসিবি’ ওরফে তাজিমুল ইসলাম ভোলা। চারিদিকে ঘিরে দাঁড়িয়ে মহিলা-সহ অসংখ্য মানুষজন। অথচ আক্রান্তদের রক্ষা করতে কাউকে এগিয়ে যেতে দেখা যায়নি। বরং যুগলকে পাশবিকভাবে মারধরের (Lynching) মর্মান্তিক দৃশ্য রীতিমতো তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন ওই তরুণ-তরুণী। তার পর গ্রামে সালিশি সভার আয়োজন করা হয় এবং সেখান থেকে এই মারধর। এই ঘটনায় তাজিমুল ইসলামকে গ্রেপ্তার (Arrest) করা হয়েছে। নিজের কৃতকর্মের জন্য এতটুকুও অনুতপ্ত নয় সে। সোমবার সে নির্বিকারভাবেই আদালতের পথে পা বাড়িয়েছে।
বাংলায় নারী নির্যাতনের ভাইরাল ভিডিওর (Viral Video) আঁচ পৌঁছেছে সংসদেও। এনিয়ে সোমবার সংসদের বাইরে দাঁড়িয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির তারকা সাংসদ কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। তাঁর কথায়, মহিলাদের উপর অত্যাচার বাড়ছে। ওখানে তরুণীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগে শরিয়তি আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। আমি ওই INDI জোটের সঙ্গী তৃণমূল (TMC) আর মমতাদিদিকে প্রশ্ন করতে চাই, আপনারাই সংবিধান রক্ষার দাবিতে সংসদে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, অথচ যেভাবে ওখানে মারধর হল, সেটা কি সংবিধান পরিপন্থী নয়? এভাবে কোথাও শরিয়ত আইন প্রয়োগ করা যায়? রাহুল গান্ধীকেও এই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। তিনিও INDI জোটের সদস্য।
কঙ্গনার এহেন মন্তব্যের অবশ্য পালটা দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। তাঁর পালটা প্রতিক্রিয়া, ”কঙ্গনা রানাউত সদ্য অভিনয় জগত থেকে রাজনীতিতে এসেছেন। আসতেই পারেন। কিন্তু সবটা তাঁর বোঝা উচিত আগে। এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সবার সামনেই বলেন দলের নেতাদের কথা শুনতে হবে না। পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলেন। এরাজ্যেই দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়, রাজনৈতিক রং না দেখে। এখানকার মুখ্যমন্ত্রীর হিম্মত আছে। কঙ্গনা রানাউত কি দয়া করে বলবেন, তিনি মণিপুর নিয়ে কিছু ভাবছেন কিনা? কঙ্গনা রানাউত কি দয়া করে বলবেন, তিনি একবারও মণিপুরে গিয়েছেন কিনা? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শিক্ষা দেওয়ার আগে একটু অভিজ্ঞ হোন!”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.