প্রতীকী ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘুমের ইঞ্জিকেশন দিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল কানপুরের এক জিম প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগের পরেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি, অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের। শেষ পর্যন্ত এলাহাবাদ হাই কোর্টের নির্দেশে ধর্ষণের ঘটনার প্রায় দেড় বছর পর গ্রেপ্তার করা হল অভিযুক্তকে।
ঘটনাটি ২০২১ সালের। শহরের ফজলগঞ্জ এলাকার একটি জিমে শারীরিক কসরত করতেন তখন ক্লাস ইলেভেনের ছাত্রী ওই নাবালিকা। ওই জিমেই প্রশিক্ষকের কাজ করতেন অভিযুক্ত অর্জুন সিং। নাবালিকার নম্বর ফোন নম্বর চেয়েছিলেন তিনি, দেয়নি নাবালিকা। এর পর ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে জিম অপরেটরের কাছে থেকে নাবালিকার ফোন নম্বর পান অর্জুন। অভিযোগ, একাধিকবার নাবালিকাকে দেখা করার জন্য চাপ দিতেন জিম প্রশিক্ষক। এর পর না জানিয়ে এক ধরনের মাদক পাউডার দিতেন নাবালিকাকে।
ওই পাউডারের নেশা ধরে যায় নাবালিকার। সেই সুযোগে একদিন অর্জুন বাড়িতে ডেকে পাঠান নাবালিকাকে। মাদকের ইঞ্জেকশন দেন তাকে। এবং নেশাগ্রস্ত প্রায় জ্ঞানহীন নাবালিকাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এমনকী কুকীর্তির ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে বেশ কয়েক মাস বন্দি করে রাখেন নাবালিকাকে। নিজে বাঁচতে নির্যাতিতাকে আত্মহত্যার উসকানিও দেন।
একদিন অভিযুক্তের অনুপস্থিত গোটা বিষয়টি মা-বাবাকে জানাতে সক্ষম হন নাবালিকা। যদিও নির্যাতিতার মা-বাবা থানায় গেলেও পুলিশ অভিযোগ নেয়নি! শেষ পর্যন্ত ওই দম্পতিই মেয়েকে উদ্ধার করেন। এর পর ২০২৩ সালে নতুন করে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। তার পরেও গ্রেপ্তার হননি অভিযুক্ত। শেষ পর্যন্ত এলাহাবাদ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন দম্পতি। হাই কোর্টের নির্দেশে সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত অর্জুন সিংকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.