সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১ জুন থেকে কর্নাটকে সকল ধর্মীয় স্থান খুলতে চান মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদ্দুরাপ্পা (BS Yediyurappa)। এই মর্মে কেন্দ্রকে চিঠি লিখে অনুরোধ করেন তিনি। কেন্দ্রের অনুমতি মিললে দীর্ঘ লকডাউন শেষে ১ জুন থেকেই রাজ্যের মন্দির, চার্চ ও মসজিদগুলিকে খোলার অনুমতি দেবেন তিনি।
লকডাউনের প্রথম ও দ্বিতীয় দফা বাদ দিলে তৃতীয় ও চতুর্থ দফা থেকে দেশবাসীকে বেশ কিছু ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রথম থেকেই কোপ পড়েছে দেশের ধর্মীয় স্থানগুলিতে (Religious places)। প্রধানমন্ত্রীর লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই তালা পড়েছে মন্দির, মসজিদ, চার্চের দরজায়। ‘দো গজ কি দূরি’ বজায় রাখতে ধর্মীয় স্থানগুলিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে। লকডাউনের চতুর্থ পর্বে এসে অর্থনীতির হাল ফেরাতে যানবাহন, দোকান বা মানুষের চলাফেরার উপরে নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করা হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ধর্মীয় স্থানের উপর থেকে কোনও নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়নি। ১ জুন থেকে রাজ্যের সকল ধর্মীয় স্থান খুলে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদ্দুরাপ্পা। তিনি বলেন, “রাজ্যের ধর্মীয় স্থানগুলি খোলার আগে কেন্দ্রের অনুমতির প্রয়োজন। তাই অপেক্ষা করতে হবে। অনুমতি পেলে ১ জুন থেকে ধর্মীয় স্থানগুলি খোলার সম্ভাবনা রয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনের পূর্বেই কর্নাটকের মন্ত্রী কোটা শ্রীনিবাস পূজারি আশা প্রকাশ করেছিলেন যে, জুন মাসে রাজ্যের মন্দিরগুলি খুলে দেওয়া হবে। তিনি সাংবাদিকদেরও জানিয়েছিলেন, “সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও জীবাণুনাশক ছড়িয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে মন্দিরের পরিবেশ রক্ষা করা হবে। তারপরই মন্দির খোলার কথা ভাবনা-চিন্তা করা হবে।”
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার একটি ক্যাবিনেট বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানে মন্দির, মসজিদ, চার্চ-সহ সমস্ত ধর্মীয় স্থান খোলার অনুমতি দেওয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে দেশে ক্রমেই বাড়ছে সংক্রমণের মাত্রা। এমতাবস্থায় কেন্দ্রের তরফ থেকে ধর্মীয় স্থান খোলার অনুমতি দেওয়া হবে কিনা সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.