Advertisement
Advertisement
Karnataka

‘প্রতি শহরে ৮-১০ জন আত্মবলিদান দিন’, ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে ‘হিংসা’র ডাক কংগ্রেস নেতার

২ মিনিটের এই ভিডিও ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।

Karnataka ex-corporator incites violence over Waqf Act

অভিযুক্ত প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলর কবির খান।

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:April 11, 2025 4:35 pm
  • Updated:April 11, 2025 4:35 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ব্যাপক হিংসা চালানোর আহ্বান! প্রয়োজন হলে প্রতিটি শহরে আত্মবলিদান ৮-১০ জন যুবককে আত্মবলিদান দেওয়ার ডাক! সোশাল মিডিয়ায় এমনই বার্তা দিয়ে বিতর্কে কর্নাটকের কংগ্রেস নেতা তথা পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর কবির খান। তাই মন্তব্য সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই বিতর্ক চরম আকার নিয়েছে।

সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় এক ভিডিও ভাইরাল হতে শুরু করে (যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল)। যেখানে কবির খান নামে ওই কংগ্রেস নেতা দেশের মুসলিম যুবকদের কাছে আবেদন জানান, সকলকে রাস্তায় নামার জন্য। তাঁর আবেদন, রাস্তায় নেমে সমস্ত সরকারি সম্পত্তি গুড়িয়ে দেওয়া হোক। প্রয়োজনে আত্মবলিদান দিক যুবসমাজ। তবে এই আইনের প্রত্যাহার প্রয়োজন। কবির খানের দাবি, ‘রাস্তায় নেমে বাসে-ট্রেনে আগুন জ্বালান। অবশ্যই কিছু মানুষকে আত্মবলিদান দিতে হবে। প্রতিটি শহরে এই আত্মবলিদানের সংখ্যাটা যেন ৮-১০ জনের কম না হয়। এই আইন প্রত্যাহারে পোস্টার হাতে আন্দোলন বা মামলায় কিছু হবে না। যদি কিছু হয় তবে তা ধ্বংসের মাধ্যমেই আসবে।’ গত ৮ এপ্রিল ভাইরাল হওয়া ২ মিনিটের এই ভিডিও ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।

Advertisement

ভিডিও ভাইরাল হতেই পুলিশের তরফে কবির খানের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত কবিরের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, আজাদ নগরের বাসিন্দা এবং দাভানগেরে শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলর ছিলেন এই ব্যক্তি। পুলিশের দাবি, তাঁর ভিডিও বার্তা ব্যাপকভাবে উস্কানিমূলক। এবং আইনশৃঙ্খলার জন্য বিপজ্জনক। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ করে রেখেছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে শীঘ্রই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করব আমরা। তবে শুধু কবির নন, এই হিংসার ভিডিওবার্তা প্রচারে আরও একাধিক জন জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, গত ৫ এপ্রিল মধ্যরাতে রাষ্ট্রপতির সাক্ষরের সঙ্গে সঙ্গে মাত্র ৩দিনে আইনে পরিণত হয়েছে ওয়াকফ বিল। বিজেপির দাবি ছিল, এই বিল আইনে পরিণত হলে কোটি কোটি প্রান্তিক মুসলিম সমাজ উপকৃত হবেন। এতদিন ধরে গুটিকয়েক প্রভাবশালীর হাতে কুক্ষিগত ওয়াকফ সম্পত্তি মুক্ত হবে এবং সাধারণ মুসলিমরা উপকৃত হবেন। যদিও বিরোধীদের দাবি, এই বিল পুরোপুরি অসাংবিধানিক। এটা আসলে পরিকল্পিতভাবে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ। শুধু তাই নয়, ওয়াকফ বোর্ডে কেন অমুসলিম সদস্য রাখা হবে তা নিয়েও প্রতিবাদে সরব হয়েছে দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি বড় অংশ। ইতিমধ্যেই এই আইনকে আটকাতে শীর্ষ আদালতে দায়ের হয়েছে মামলা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement