সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্কঃ সকাল থেকে সবকিছু ঠিকই চলছিল। কর্ণাটক জযের আনন্দে মেতে উঠেছিলেন রাজ্যের বিজেপি সমর্থকরা। হঠাৎ ঘটল ছন্দপতন। ত্রিশঙ্কু হতে চলেছে বিধানসভার ফলাফল। এটা ধরে নিয়েই কর্ণাটকের মসনদে বসার ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছিল বিজেপি ও কংগ্রেস। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার যে জেডিএস-কে ভোটের আগে তুলোধোনা করেছিল দুপক্ষই। তাদেরকে নির্ণায়ক ধরেই জেডিএস প্রধান এইচ ডি কুমারাস্বামীকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিল কংগ্রেস ও বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের প্রস্তাব খারিজ করে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে সরকার চালাতে তারা রাজি, জানিয়ে দিল জেডিএস।
[ফলাফল যাই হোক, লিঙ্গায়ত ভোট পকেটে পুরে বাজিমাত বিজেপির]
ঘোষণা হয়নি সম্পূর্ণ ফলাফল। তার আগেই সরকার গড়া নিয়ে চূড়ান্ত নাটক কর্ণাটকে। কোনও পক্ষই একক শক্তিতে সরকার গড়তে পারবে না, তা ধরে নিয়েই জেডিএস-এর সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করে দিল কংগ্রেস ও বিজেপি। একশো পেরলেও ম্যাজিক ফিগার ১১২ ছুঁতে পারেনি পদ্ম শিবির। অন্যদিকে কংগ্রেস ও জেডিএস কেউই একশো আসন ছুঁতে না পারলেও, জোট করে সরকার গড়তে চলেছে তাঁরাই। এই মর্মে একপ্রস্থ কথাও হয়ে গিয়েছে, কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সনিয়া গান্ধী ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়ার মধ্যে। সূত্রের খবর, মূলত পাঁচটি শর্তে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে সরকার তৈরিতে রাজি হয়েছে জেডিএস এবং জোটকে সমর্থন করে সরকার গড়তে রাজি হয়েছেন জয়ী দুই নির্দল প্রার্থীও।
[বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত! কুমারীত্বের অগ্নিপরীক্ষা ছাড়াই হল কঞ্জরভাট সম্প্রদায়ের বিয়ে]
তবে হাল ছাড়তে নারাজ বিজেপিও। জানা গিয়েছে, আমিত শাহের বাড়িতে দীর্ঘ আলোচনার পরে ইতিমধ্যেই বেঙ্গালুরুর উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন পদ্ম শিবিরের তিন কেন্দ্রীয় নেতা, জেপি নাড্ডা, প্রকাশ জাভড়েকর ও ধর্মেন্দ্র প্রধান। এছাড়া জেডিএসের জয়ী ছয় বিধায়কের সঙ্গেও যোগাযোগ করছে গেরুয়া শিবির। পাশাপাশি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে সরকার গড়ার প্রস্তাব দিতে যাচ্ছেন কংগ্রেস ও জেডিএস নেতারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.