সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মন্দিরের দরজা খুলেই চক্ষু চড়কগাছ। মেঝেতে পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। এক নয়, তিনজন পুরোহিতের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয় মন্দির থেকে। যে ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশাও। ইতিমধ্যেই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
ঘটনাটি শুক্রবার সকালেই কর্ণাটকের (Karnataka) গুট্টালুর অর্কেশ্বর স্বামীর মন্দিরে ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, এদিন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারা তিনজনের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুরোহিতদের গণেশ, প্রকাশ ও আনন্দ হিসেবে চিহ্নিত করা গিয়েছে। প্রত্যেকেরই মাথায় গুরুতর চোটের দাগ রয়েছে। বোল্ডার দিয়ে তাঁদের মাথা গুঁড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের দাবি, পুরোহিতদের খুন করার পিছনে ডাকাতিই মূল কারণ হতে পারে। কেননা মন্দিরের দানবাক্স থেকে প্রায় সব টাকা-পয়সাই উধাও। কয়েকটা কয়েন পড়ে রয়েছে মাত্র। অর্থাৎ ডাকাতির উদ্দেশ্যে এসেই পুরোহিতদের খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।
স্নিফার ডগ এনে গোটা মন্দির চত্বরে তল্লাশি করা হচ্ছে। একইসঙ্গে সেখানে পৌঁছায় ফরেনসিক দল। প্রমাণ একত্রিত করে অপরাধীদের ধরার চেষ্টা চলছে। তবে মন্দিরের মতো পবিত্র স্থানে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা। এদিন টুইটারে তিনি লেখেন, “অর্কেশ্বর মন্দিরের ভিতর তিনজন পুরোহিতদের হত্যার ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। যে বা যারা এই কাজ করেছে তাদের খুঁজে বের করার জন্য তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পাশাপাশি মৃতদের পরিবার পিছু পাঁচ লক্ষ টাকা অর্থ সাহায্যও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
ಹತ್ಯೆಗೊಳಗಾದ ದೇವಸ್ಥಾನದ ಪೂಜಾರಿಗಳ ಕುಟುಂಬಕ್ಕೆ ತಲಾ 5.00 ಲಕ್ಷ ರೂ. ಪರಿಹಾರ ನೀಡಲಾಗುವುದು. ತಪ್ಪಿತಸ್ಥರ ವಿರುದ್ಧ ಕೂಡಲೇ ಸೂಕ್ತ ಕಾನೂನು ಕ್ರಮ ಕೈಗೊಳ್ಳಲಾಗುವುದು. (2/2)
— CM of Karnataka (@CMofKarnataka) September 11, 2020
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.