Advertisement
Advertisement
Operation Sindoor

অপারেশন সিঁদুরের পর অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্তারপুর করিডর বন্ধ করল ভারত, তীর্থযাত্রীদের ফিরে আসার নির্দেশ

২০১৯ সালের পাক সরকারের সঙ্গে কর্তারপুর করিডোর চুক্তি সম্পন্ন করে ভারত সরকার।

Kartarpur Corridor shut by India ‘until further notice’ post Operation Sindoor

ছবি: সংগৃহীত।

Published by: Subhodeep Mullick
  • Posted:May 7, 2025 8:04 pm
  • Updated:May 7, 2025 8:30 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পর অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্তারপুর করিডর বন্ধ করল ভারত। বুধবার যে সমস্ত ভারতীয় তীর্থযাত্রীরা সেখানে গিয়েছিলেন, তাঁদের ফিরে আসারও নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধিনস্থ দ্য ব্যুরো অফ ইমিগ্রেশনের তরফ থেকে একটি বিবৃতি জারি করা। জানানো হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কর্তারপুর করিডর বন্ধ থাকবে।

বাটলা পুলিশের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট সোহেল কাশিম মীর বলেন, “বুধবার কর্তারপুর গুরুদ্বারে যাওয়ার জন্য ৫০০ জন তীর্থযাত্রী নিবন্ধন করেয়েছিলেন। এদিন সকালে প্রায় ১০০ জন এখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু করিডর বন্ধ থাকায় তাঁদের ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” তবে কী কারণে এটি বন্ধ করা হল, সে বিষয়ে কেন্দ্রের তরফ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

Advertisement

শিখ ধর্মাবলীদের জন্য অত্যন্ত প্রবিত্র তীর্থক্ষেত্র গুরুদ্বারা দরবার সাহিব কর্তারপুর বা কর্তারপুর গুরুদ্বার। শিখ ধর্মগুরু গুরু নানক জীবনের শেষ ১৮ বছর কাটিয়েছিলেন এখানেই। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর কর্তারপুর সাহিব পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে পড়ে। এর পর থেকে ভারতের শিখ সম্প্রদায়ের দাবি ছিল এই তীর্থক্ষেত্রে যাতে সহজে যেতে পারেন শিখ ধর্মাবলীরা, সরকার যেন তার ব্যবস্থা করে। সেইমতো ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে পাক সরকারের সঙ্গে কর্তারপুর করিডর চুক্তি সম্পন্ন করে ভারত সরকার। যার মাধ্যমে ৪ কিমি রাস্তা পার করে ভারত থেকে পাকিস্তানের কর্তারপুরে যেতে পারেন শিখ তীর্থযাত্রীরা। এর জন্য ভারতীয় শিখদের কোনওরকম ভিসা লাগে না।

প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর বদলা নিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র। এই হামলায় বাহওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদ, মুরাক্কায় লস্কর-ই-তৈবা ও হিজবুল মুজাহিদিনর সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। গোটা অপারেশনের নজরদারিতে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাতেই মন্ত্রকের তরফে হামলার বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। তাতে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে ৯টি জায়গায় জঙ্গি পরিকাঠামো লক্ষ্য করে ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ করা হয়েছে। যে সব জায়গায় বসে ভারতে সন্ত্রাসবাদী হানার পরিকল্পনা হয়েছিল এবং নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেখানেই ভারত আঘাত হেনেছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement