সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ২৪ ঘণ্টায় নাটকীয় পট পরিবর্তন হয়েছে উপত্যকার রাজনীতিতে। বিরোধীরা এক হওয়া, বিধায়ক সংখ্যা অনেক কম হওয়া সত্ত্বেও বিজেপির সরকার গড়ার চেষ্টা এবং সবশেষে রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত। শেষ কবে ভারতীয় রাজনীতিতে এত দ্রুত ঘটনার দৃশ্যপট বদলেছে মনে করতে পারছেন না রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার নয়া অভিযোগ। খানিকটা বিজেপি নেতাদের সুরেই রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক অভিযোগ করলেন, সীমান্তের ওপারের ইশারাতেই কাশ্মীরে সরকার গড়ার দাবি জানাচ্ছিল বিরোধীরা।
বুধবারই শোনা যায়, কাশ্মীরে পরবর্তী সরকার গঠনের জন্য একজোট হচ্ছে পরস্পর বিরোধী ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং পিডিপি। কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে সরকার গড়তে চলেছে তারা। সেইমতো রাজ্যপালের কাছে ফ্যাক্স করে সরকার গঠনের দাবি জানান পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। অন্যদিকে, বিজেপির সমর্থনে পালটা সরকার গড়ার দাবি জানান পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সাজ্জাদ লোন, যদিও উপযুক্ত সংখ্যক বিধায়কের সমর্থন তাঁর কাছে ছিল না। এরপরই রাজ্যপাল বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রাজ্যপাল। তিনি জানান, তাঁর ফ্যাক্স মেশিন বন্ধ ছিল, বিরোধীদের কাছে সরকার গড়ার কোনও অনুরোধ তিনি পাননি। রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক আখ্যা দেয় বিরোধীরা। তাদের দাবি, বিজেপির ইশারায় গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন সত্যপাল মালিক।
যদিও, রাজ্যপাল নিজের অবস্থানে অনড়। তাঁর দাবি,”অসাধু জোট জম্মু কাশ্মীরের জন্য বিপজ্জনক হত। এই মুহূর্তে কাশ্মীরের স্থায়ী সরকার প্রয়োজন, পরস্পর বিরোধী ভাবাদর্শের দুটি দল কখনও স্থায়ী সরকার গঠন করতে পারবে না। তাছাড়া সম্প্রতি পঞ্চায়েত ভোট বয়কট করে পিডিপি এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স বুঝিয়ে দিয়েছে তাঁরা মানুষের কথা ভাবে না। পাকিস্তানের ইশারাতেই তাঁরা পঞ্চায়েত ভোট বয়কট করেছিলেন। তাদের একজোট হওয়ার পিছনেও পাকিস্তানের যোগ থাকতে পারে।” একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন সত্যপাল মালিক। উল্লেখ্য, সত্যপাল মালিকের আগে এই একই অভিযোগ করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক রাম মাধবও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.