সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলা বা বলা ভালো কাশ্মীরের বুকে সংগঠিত যে কোনও বড় সন্ত্রাসবাদী হামলার নেপথ্যে যে পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদত থাকে, সেটা আলাদা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। ব্যতিক্রম নয় পহেলগাঁও হামলাও। যে জঙ্গিরা পহেলগাঁওয়ের রিসর্টে হামলা চালিয়েছিল, তাদের মধ্যে একাধিক পাক জঙ্গি রয়েছে। শুধু ওই জঙ্গিদের উপস্থিতি নয়, পহেলগাঁও কাণ্ডের নেপথ্যে পাক ষড়যন্ত্রের ছক সম্ভবত আরও গভীর। যার ইঙ্গিত মিলেছিল সপ্তাহখানেক আগে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের বক্তব্যে। অন্তত নেটিজেনদের তেমনটাই দাবি।
পহেলগাঁও হামলার (Kashmir’s Pahalgam Terror Attack) এক সপ্তাহ আগে গত ১৭ এপ্রিল পাক সেনাপ্রধানের এক ভাষণ রীতিমতো চর্চায়। নেটদুনিয়ার দাবি, আসিম মুনিরের ওই ভাষণেই লুকিয়ে ছিল পহেলগাঁও হামলার উসকানির বীজ। কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাক সেনাপ্রধান সেদিন বলেন, “কাশ্মীর আমাদের জিউগুলার ভেন ছিল, আছে, থাকবে। কাশ্মীরি বীর ভাইরা যে সংগ্রাম চালাচ্ছেন, আমরা তাঁদের ছাড়ব না। কাশ্মীরকে কোনওদিন ভুলবে না পাকিস্তান।” বস্তুত, বালোচ বিদ্রোহী এবং ভারতীয় সেনাকে এক সারিতে বসিয়ে পাক সেনাপ্রধান দাবি করেন, “আমরা ১৩ লক্ষ ফৌজের ভারতীয় সেনাকে ভয় পাই না।”
সেদিন পাক সেনাপ্রধানের বক্তব্যের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছিল উসকানি। দ্বিজাতি তত্ত্ব উসকে দিয়ে তিনি বলেন, “আমরা হিন্দুদের থেকে আলাদা। কোনওদিন আমাদের মধ্যে কোনও মিল ছিল না। আর ছিল না বলেই দুটো আলাদা দেশের প্রয়োজন পড়েছে।” পাক সেনাপ্রধানের বক্তব্য ছিল, “আমাদের পূর্বপুরুষেরা মনে করেছিলেন হিন্দু এবং মুসলমান সম্পূর্ণ আলাদা। আমাদের স্বভাব, আচার আচরণ, রীতিনীতি সব আলাদা। আমাদের সংস্কৃতি আলাদা, চিন্তাভাবনা আলাদা, আশা-আশঙ্কা সব আলাদা। আর সেটাই দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তি।
ঘটনাচক্রে পাক সেনাপ্রধানের সেই বক্তব্যের পরই মঙ্গলবারের পহেলগাঁওয়ের হামলা। নেটিজেনদের ধারণা, এই হামলার নেপথ্যে যে পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের ষড়যন্ত্র কাজ করেছে, সেটা পাক সেনাপ্রধানের ওই পুরনো বক্তব্যেই স্পষ্ট। সেদিন আসিম মুনির উসকানি দেওয়ার উদ্দেশেই হামলা চালান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.