সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবগারি দুর্নীতি মামলায় ঘণ্টা দুয়েক জেরার পরে গ্রেপ্তার হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। তিনিই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী নন যিনি গ্রেপ্তার হলেন। কয়েকদিন আগেই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন গ্রেপ্তার হন। তবে তাঁর গ্রেপ্তারির ক্ষেত্রে ‘টেকনিক্যালি’ মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেপ্তারি বলা যাবে না। গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই তিনি ইস্তফা দিয়ে দিয়েছিলেন। একই ভাবে অতীতে লালুপ্রসাদ যাদব থেকে জয়ললিতার মতো নেতানেত্রীও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। কিন্তু ঠিক গ্রেপ্তারির মুহূর্তে তাঁরা কেউই মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না। সেই হিসেবে পদে আসীন অবস্থায় গ্রেপ্তার হওয়া দেশের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালই।
আরজেডি নেতা তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav) পশুখাদ্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন ২০১৩ সালে। বিহারের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্রও দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন এই মামলায়। উল্লেখ্য, ১৯৯০ থেকে ১৯৯৭ সালের মধ্যে দুবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন লালু।
এদিকে তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন ১৯৯৬ সালে। ২০১৪ সালে তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। ১৯৯১ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে তিনি একাধিক বার সামলেছিলেন দক্ষিণী রাজ্যটির মসনদ।
হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌতালা ও ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী মধু কোড়াকেও গ্রেপ্তার হতে হয়েছিল। চৌতালাকে দশ বছরের সাজা শোনানো হয় ২০১৩ সালে। ১৯৮৯ থেকে ২০০৫-এর মধ্যে একাধিক বার তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকেছেন। এদিকে মধু কোড়া ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। পরে ২০০৯ সালে খনি দুর্নীতি মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হন। কিন্তু এঁরা কেউই গ্রেপ্তারির মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রীর পদে আসীন ছিলেন না। জেরার আগেই ইস্তফা দিয়েছেন, এমন নজির যেমন রয়েছে, তেমনই পদ ছাড়ার পর অভিযুক্ত হিসেবে জেরার মুখে পড়েছেন তাও ঘটেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.