সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চারমাসের অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠল শাসকদল সিপিএমের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের কোঝিকোড়ে। লাথির জেরে পেটে মারাত্মক আঘাত পান ওই গৃহবধূ। অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গৃহবধূকে বাঁচাতে তড়িঘড়ি গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। যমে মানুষে টানাটানির পর সম্প্রতি সুস্থ আছেন ওই গৃহবধূ। এরপরই আক্রমকারী সিপিএম সমর্থকদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্তের স্বামী। গত দুই ফেব্রুয়ারি অভিযোগ দায়ের হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর বৃহস্পতিবার স্থানীয় সিপিএম নেতা-সহ সাত দলীয় সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অভিযোগ, চলতি মাসের দুতারিখে অভিযোগ দায়েরের পর থেকেই হুমকির পর হুমকি আসছে। অভিযোগ তুলে না নিলে আক্রান্ত গৃহবধূর স্বামীর পা কুচিয়ে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছে অভিযুক্তরা।
ঘটনার দিন গত ২৮ জানুয়ারি। চারমাসের অন্তঃসত্ত্বা জোসানা সিব্বি বাড়িতেই ছিলেন। অভিযোগ, এই সময় জমি সংক্রান্ত সমস্যাকে হাতিয়ার করে বাড়িতে ঢুকে পড়ে সিপিএম সমর্থকরা। তাঁর স্বামীর সঙ্গে শুরু হয় উত্তপ্ত বাক্যালাপে। এর মধ্যেই জোসানা সিব্বির স্বামীকে ধরে বেধড়ক মারধর করতে থাকে উন্মত্ত সমর্থকরা। স্বামী আক্রান্ত হতে দেখে বাধা দিতে যান তিনি। সেই সময়ই তাঁর পেট লক্ষ্য করে লাথি চালায় সমর্থকরা। সঙ্গে সঙ্গেই রক্তপাত। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আক্রান্ত মহিলার শারীরিক পরিস্থিতি পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান, গর্ভের ভ্রুণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। অবিলম্বে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন।
এই প্রসঙ্গে কোঝিকোড় পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিবেশীদের সঙ্গে জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের সমস্যা ছিল সিব্বি পরিবারের। এই সমস্যাই হল মূল হেতু। প্রতিবেশীর ইচ্ছেতেই সেদিন সিপিএম সমর্থকরা মারমুখী রূপ নিয়ে সিব্বি পরিবারে হানা দেয়। দুর্ঘটনার আভাস পেয়ে ১৫ মিনিট আগেই পুলিশে খবর দিয়েছিলেন জোসানা। তাই দুর্ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.