সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স ৯৯ বছর। সময়ের নিয়মে বার্ধক্য থাবা বসিয়েছে চোখে-মুখে। কিন্তু সুস্থ শরীর আর প্রাণোবন্ত মনে তা ছাপ ফেলতে পারেনি। আর তাই তো এই বয়সেও পাহাড়ে ওঠার প্রস্তুতি নিতে পারেন চিথরান নাম্বুদ্রিপাদ।
কথায় বলে, পাহাড়ের পরতে পরতে উঁকি দেয় রহস্য। প্রত্যেক মোড়ে অপেক্ষা করে থাকে নতুন কাহিনি। আর সেই রোমাঞ্চের টানেই বারবার পাহাড়ে ছুটে যান তিনি। এখনও পর্যন্ত ২৯ বার সফলভাবে হিমালয় ঘোরা হয়ে গিয়েছে তাঁর। ফের ট্রেকের জন্য তৈরি হচ্ছেন তিনি। চলতি বছর অক্টোবরেই শতবর্ষের জন্মদিন পালন করবেন। দুর্গম পাহাড়ের গভীরেই জীবনের বিশেষ দিনটি সেলিব্রেট করতে চান তিনি।
প্রতিবেশীর মুখে হিমালয়ের গল্প শুনে ছোট থেকেই পাহাড়ের প্রেমে পড়ে যান। পাহাড় তাঁকে এখনও ডাকে। সেই ট্রেকিং কেরলের বৃদ্ধের কাছে এখনও নেশার মতো। তাই তো জীবন সায়াহ্নে এসেও ৩০তম ট্রেকিংয়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত তিনি। চিথরান বলেন, ‘প্রথম সফর করেছিলাম ১৯৯০ সালে। কেদারনাথ, বদ্রীনাথ ঘুরেছি। তারপর থেকে প্রতি বছরই যাই। কোনওবার বাদ দিই না।’ কেন বারবার টানে তাঁকে হিমালয়? বৃদ্ধের উত্তর, “হিমালয় থেকেই দেশের সব বড় নদীর জন্ম। এই বিষয়টা আমার কাছে খুব ইন্টারেস্টিং। তাছাড়া ঢালের মতো দাঁড়িয়ে অন্যান্য দেশের থেকে ভারতকে রক্ষা করে হিমালয়। তাই এই পর্বতমালার যেকোনও প্রান্তে আমি যেতে রাজি। তবে গঙ্গোত্রীতে যেতে বেশি ভাল লাগে।”
খাড়া পাহাড় দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রেক করতে হত। তবে এখন বেশি হাঁটতে পারেন না। তাই বাসে ও ঘোড়ায় চড়ে যান। পাহাড় তাঁর কাছে নেশা। পেশায় তিনি শিক্ষক ছিলেন। জাতীয় পুরস্কারজয়ী এই শিক্ষাবিদ নিজের গ্রামে প্রথম হাই স্কুলও তৈরি করেছেন। তাঁর অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে প্রশংসার দাবি রাখে বইকি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.